অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দিতে পারেন ফেলিক্স

অনেকটা যাযাবরের মতো সময় কাটছে জোয়াও ফেলিক্সের। গত দুই বছরে খেলে ফেলেছেন তিনটি ক্লাবের হয়ে। সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে এই জানুয়ারিতেই। চেলসি থেকে ধারে অ্যাস্টন ভিলায় যাওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। এমন সংবাদই ফলাও করে ছাপিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ইংলিশ গণমাধ্যমের মতে, অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরির আক্রমণাত্মক কৌশলের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন ফেলিক্স, যা চেলসির কোচ এনজো মায়েরস্কার সঙ্গে করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফেলিক্সও এমনটাই ভাবছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
সম্প্রতি ইতালীয় কোচ এনজো মায়েরস্কা সংবাদ সম্মেলনে জানান, এনকুঙ্কু এবং ফেলিক্স দুজনই শীর্ষ মানের খেলোয়াড়। তবে সমস্যাটা হলো, তিনি নিজের পরিকল্পনায় একমাত্র আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে কোল পামারকে ব্যবহার করছেন। ফলে, ফেলিক্স এবং এনকুঙ্কু প্রত্যাশিত সময় পাচ্ছেন না মাঠে।
এদিকে, এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে মোরক্যাম্বের বিপক্ষে দুর্দান্ত একটি গোল করার পরও তেমন উদযাপন করেননি ফেলিক্স। মাঠে পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় যে তিনি বিরক্ত তা ফুটে উঠেছে তার অভিব্যক্তিতে। ২৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে "ছোট ম্যাচের খেলোয়াড়" হিসেবে বর্ণনা করেছে ডেইলি টেলিগ্রাফ।
একসময় ফেলিক্স ছিলেন বিশ্ব রেকর্ডধারী টিনএজ ট্রান্সফার। ২০১৯ সালে বেনফিকা থেকে ১১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে যোগ দেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে। তবে সেই বড় মূল্য ট্যাগের প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হন। টানা ব্যর্থতায় ২০২৩ সালে প্রথমবার চেলসিতে ধারে যোগ দেন। তবে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দ্বিতীয় মেয়াদে মাত্র তিনটি লিগ ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন এই পর্তুগিজ।
তবে ফেলিক্স ছাড়াও, অ্যাস্টন ভিলার নজরে রয়েছেন চেলসির ডিফেন্ডার অ্যাক্সেল ডিজাসি এবং ভিয়ারিয়ালের হুয়ান ফয়থও। অন্যদিকে, সম্ভাব্য দলত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন জন ডুরান। সৌদি আরবের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও, আর্সেনালের মতো ক্লাব তাঁকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আক্রমণাত্মক প্রোফাইলের খেলোয়াড় খুঁজছে।
Comments