পরিসংখ্যানে রিয়াল-ম্যানসিটি মহারণ

প্রথম লেগের ম্যাচে নাটকীয় এক জয়ে এগিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। এবার ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটিকে আতিথেয়তা দেবে দলটি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচে স্পষ্ট ফেভারিট লস ব্লাঙ্কোসরা। হাই ভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে জেনে নেওয়া যাক কিছু পরিসংখ্যান:

১) ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ছয় ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ (৩ জয়, ২ ড্র, ১ হার)।

২) গত সপ্তাহের জয়টি ইউরোপিয়ান নকআউট পর্বে রিয়াল মাদ্রিদের ৪০তম প্রথম লেগ জয় ছিল, যেখানে তারা আগের ৩৯টির মধ্যে ৩৭টিতেই পরবর্তী রাউন্ডে উঠেছে। ব্যতিক্রম ছিল ওডেনসে বোল্ডক্লুব (১৯৯৪-৯৫ উয়েফা কাপ) এবং আয়াক্স (২০১৮-১৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ)।

৩) ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে নিজেদের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের একমাত্র হার এসেছিল ২০১৯-২০ মৌসুমের শেষ ষোলোতে (২-১ ব্যবধানে)।

৪) এটি হবে কার্লো আনচেলোত্তি এবং পেপ গার্দিওলার মধ্যকার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দশম লড়াই, যা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথমবার কোনো দুই কোচ একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছেন ১০ বার।

৫) এখন পর্যন্ত আনচেলোত্তি এই নয় দেখায় চারবার জিতেছেন (৩ ড্র, ২ হার), এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গার্দিওলার বিপক্ষে কখনোই ঘরের মাঠে হারেননি (২ জয়, ২ ড্র)।

৬) গত মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যানচেস্টার সিটি স্পেনে ৩-৩ এবং ইংল্যান্ডে ১-১ গোলে ড্র করেছিল, যেখানে টাইব্রেকারে ইতিহাদে জয় পায় লস ব্লাঙ্কোসরা।

৭) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে প্রথম লেগ হেরে যাওয়া পাঁচবারের মধ্যে চারবারই বিদায় নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, এবং প্রথম লেগে ৩-২ ব্যবধানে হার তাদের জন্য আশঙ্কার বার্তা।

৮) স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজেদের ২৭টি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি, যা অন্য যেকোনো দেশের দলের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ (ফরাসি ও জার্মান ক্লাবের বিপক্ষে ৫টি করে হার)। স্প্যানিশ দলের বিপক্ষে এই ৯টি হার সিটির প্রতিযোগিতায় মোট পরাজয়ের ২৮% (৯/৩২)।

৯) চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের শেষ তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এর আগে কেবল একবার টানা চার ম্যাচ হেরেছিল তারা (২০১১-১২ মৌসুমে, রবার্তো মানচিনির অধীনে)। এটি ইতিমধ্যে পেপ গার্দিওলার অধীনে ইউরোপে সিটির দীর্ঘতম অ্যাওয়ে পরাজয়ের ধারা।

১০) ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড ৪৮টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে ৪৯ গোল করেছেন। প্রথম লেগে তার করা দুই গোল ছিল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তার প্রথম গোল। আজকের ম্যাচে যদি তিনি গোল করেন, তবে ম্যাচসংখ্যা ও বয়স (২৪ বছর ২১৩ দিন) উভয় বিবেচনায় দ্রুততম ৫০ গোলের রেকর্ড গড়বেন।

১১) রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গোল করেছেন (৩), যা ইংলিশ কোনো খেলোয়াড়ের ইংলিশ দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যার সমান (ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের লিভারপুলের বিপক্ষে ৩ গোল)।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago