কষ্টার্জিত জয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল বার্সেলোনা

ম্যাচ শেষে কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বললেন, 'এটা মোটেও ভালো ম্যাচ হয়নি, তবে আমরা জিতেছি। ম্যাচের কঠিনতার কারণে আমি ক্লান্ত বোধ করছি।' কোচের কথাতেই স্পষ্ট কতোটা ভুগতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। তবে স্বস্তির খবর জয় মিলেছে কাতালানদের। তাতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দলটি। আর এই জয়ে তারা রিয়াল মাদ্রিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করল, যারা রোববার জিরোনার বিপক্ষে না জিতলে ব্যবধান বাড়বে।
শনিবার রাতে লাস পালমাসের মাঠে লা লিগার ম্যাচে স্বাগতিকদের ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। দানি ওলমোর দুর্দান্ত গোল এবং ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফেরান তোরেসের আরেকটি গোল তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে ব্লুগ্রানাদের। মন্টজুইকে এই দলটির কাছে ১-২ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল বার্সা। যা ছিল চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে তাদের প্রথম হার।
অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে আসন্ন কোপা দেল রে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ মাথায় রেখে ফ্লিক এদিন দলে চারটি পরিবর্তন আনেন। রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে (১-০) জয়ের একাদশ থেকে কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন করা হয়। শৃঙ্খলাজনিত কারণে শাস্তি কাটিয়ে ফিরে আসেন জুলস কুন্দে। এছাড়া এরিক গার্সিয়া, মার্ক কাসাদো এবং ফেরমিন লোপেজ একাদশে জায়গা পান। যারা হেক্তর ফোর্ত, ইনিগো মার্তিনেজ, ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং এবং গাভির বদলে মাঠে নামেন তারা।
প্রথম লেগের জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে লাস পালমাস। অন্যদিকে, বার্সেলোনাও শুরুতে নিজেদের লক্ষ্যে স্পষ্ট ছিল। লেভানদোভস্কি শুরুতে দুটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন। এরপর লা পালমাস কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ম্যাকবার্নি কিছুটা পরীক্ষায় ফেলেন শেজনিকে, তবে গোলবার রক্ষা করতে সক্ষম হন তিনি। সাবেক বার্সা খেলোয়াড় সান্দ্রোর শটও ঠেকিয়ে দেন এই পোলিশ গোলরক্ষক।
লা পালমাসের জমাট রক্ষণ ভাঙতে বেগ পেতে হয় বার্সার খেলোয়াড়দের। এরমধ্যেই মোলেইরোর একটি শট অল্পের জন্য গোলপোস্টের বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে লামিন ইয়ামাল গোলের ভালো সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি। সময়ের সঙ্গে লা লিগার শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কা বাড়ছিল দলটির। বিরতির পরপরই ফেরমিনকে তুলে ওলমোকে মাঠে নামান ফ্লিক, তাতে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ বাড়ে। তবে লা পালমাসের দুই মিডফিল্ডার এসুগো ও বাজচেটিক আটকে দেন বার্সার খেলোয়াড়দের, তাতে বাড়ছিল হতাশা।
এই সংকটের মধ্যেই আশার আলো হয়ে আসেন লামিন ইয়ামাল। প্রথমে রাফিনিয়াকে নিখুঁত ক্রস দিলেও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। এরপর ওলমোর সঙ্গে মিলে অসাধারণ এক আক্রমণ গড়ে তোলেন, যা ওলমোর গোলের মাধ্যমে পরিণতি পায় এবং ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা।
গোল হজম করে তেতে ওঠে লা পালমাস। কোচ দিয়েগো মার্তিনেজ একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন এনে দলকে আক্রমণাত্মক করেন, যার ফলে বার্সেলোনা কিছুটা চাপে পড়ে। একবার এরিক গার্সিয়ার হাতে বল লাগলেও অফসাইডের কারণে পেনাল্টির আবেদন নাকচ করা হয়। শেষ পর্যন্ত, ফেরান তোরেস যোগ করা সময়ে গোল করলে জয় নিশ্চিত হয় তাদের।
Comments