আইপিএল

তবুও ধোনির ব্যাটিংয়ে জয়ের তাড়না দেখতে পেলেন চেন্নাই কোচ

ছবি: এএফপি

মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন ক্রিজে গেলেন, তখন জয়ের জন্য ৫৬ বলে ১১০ রান লাগত চেন্নাই সুপার কিংসের। ওই পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার খেললেন ২৬ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ধারহীন ইনিংস। তবুও ৪৩ পেরিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারের ব্যাটিংয়ের মধ্যে তাড়না দেখতে পেলেন স্টিফেন ফ্লেমিং। চেন্নাইয়ের কোচের দৃষ্টিতে, মূলত পিচ ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ায় লক্ষ্য তাড়া করা সম্ভব হয়নি।

আইপিএলে শনিবার এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ২৫ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৩ রানের ভালো পুঁজি পায় দিল্লি। জবাবে পুরো ওভার খেলা চেন্নাই মাত্র ৫ উইকেট হারালেও ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি। জয় দিয়ে এবারের মৌসুম শুরু করার পর প্রতিযোগিতার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের এটি টানা তৃতীয় হার। স্রেফ ২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার নয় নম্বরে।

একাদশ ওভারে ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় চেন্নাই। এরপর বিজয় শংকর ও ধোনি গড়েন ৫৭ বলে ৮৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তবে চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান করতে পারেননি দুজন। আগেই যেন হার মেনে নিয়ে বসেছিল দলটি! চারে নামা শংকর সাদামাটা ১২৭.৭৮ স্ট্রাইক রেটে করেন ৫৪ বলে অপরাজিত ৬৯ রান। মাত্র ১১৫.৩৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন সাতে নামা ধোনি।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হারার আগেই হার মানার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে ফ্লেমিং বলেন, 'জয়ের তাড়না ছিল। ধোনি যখন ক্রিজে যায়, তখন বল পিচে পড়ার পর আরও থেমে থেমে আসছিল। আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম যে, শুরুতে ব্যাট করলে ভালো হবে এবং ক্রমেই উইকেট মন্থর হয়ে যাবে। তাই আমরাও আগে ব্যাট করতে মুখিয়ে ছিলাম।'

নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়কের মতে পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য শক্ত ছিল ভীষণ, 'সবকিছু বিচার করলে, তারা দুজন ভালো করেছে। যদিও শঙ্কর তার পুরো ইনিংসে ঠিকমতো টাইমিং করতে ভুগেছে। তবে দ্বাদশ থেকে ষোড়শ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করা ভীষণ কঠিন ছিল। এটা দেখতেও কষ্ট হচ্ছিল, তাই তখন ক্রিজে থাকাটা নিশ্চিতভাবেই কঠিন ছিল। ম্যাচটা ধীরে ধীরে আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল। জয়ের তাড়না ও বিভিন্ন কৌশল খাটানো সত্ত্বেও আমাদেরকে ছুড়ে দেওয়া লক্ষ্যটা আসলে বিশাল রকমের ছিল।'

ছবি: বিসিসিআই

চেন্নাইয়ের কোচের সঙ্গে অবশ্য একমত হতে পারেননি ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। ভারতীয় গণমাধ্যম ক্রিকবাজের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, 'কোনো দলই হারার জন্য মাঠে নামে না। তাই আমাকে ভুল বুঝবেন না। কিন্তু তারা দুজন কি সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছে? ধোনি যখন ব্যাটিংয়ে নামে, ৫৫ বলে ১১২ বা এরকম একটা সমীকরণ ছিল। অর্থাৎ ওভারপ্রতি গড়ে ১০ থেকে ১৫ রান প্রয়োজন ছিল।'

তিনি যোগ করেছেন, 'ভেবে দেখুন, কোনোভাবেই এটা লক্ষ্যের পেছনে দৌড়ানোজাতীয় কিছু ছিল না। বরং একটা হাঁটামতো ছিল। এটা মোটেও রান তাড়া ছিল না, একটি মুহূর্তের জন্যও না। শেষ তিন ওভারে তারা মোট ৪১ রান তুলেছে। কিন্তু এই রানগুলোই ১২, ১৩ কিংবা ১৪তম ওভারে আসলে বিরাট পার্থক্য তৈরি হয়ে যেত।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh races to expand air cargo capacity

In a first move to address the shortfall, Sylhet's Osmani International Airport is set to launch dedicated cargo operations today

9h ago