কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে ১০ জনের আবাহনী

নির্ধারিত সময়ে বেশ ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে ফুটবল খেলছিল আবাহনী লিমিটেড ও বসুন্ধরা কিংস। এরমধ্যেই প্রথমার্ধের শেষ দিকে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধে তার সুবিধা আদায় করে এগিয়ে যায় কিংস। কিন্তু সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি দলটি। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা ফেরানোর পর রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালের টিকিটও মিলে আকাশি-নীল জার্সিধারীদের।

মঙ্গলবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শিরোপাধারী বসুন্ধরা কিংসকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আবাহনী লিমিটেড। নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয়। এই মৌসুমে এটি কিংসের বিপক্ষে আবাহনীর দ্বিতীয় জয়।

তবে হারলেও বাদ পড়েনি কিংস। ফাইনালে ওঠার শেষ সুযোগ হিসেবে তারা মুখোমুখি হবে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে, যারা এরই মধ্যে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে এলিমিনেটর রাউন্ডে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে।

তবে আবাহনীর জয়পথ মোটেও সহজ ছিল না। প্রথমার্ধের ৪২তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সেন্টার ব্যাক আসাদুজ্জামান বাবলু, ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আবাহনী। বিরতির পর পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে, যখন গোলরক্ষক মিতুল মারমা ও ডিফেন্ডারদের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে মুজিবর রহমান জনি কিংসকে এগিয়ে দেন।

একজন কম নিয়ে এবং গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও আবাহনী হাল ছাড়েনি। প্রতিপক্ষের টানা আক্রমণ সামলে রাখে তারা, যদিও বল দখলে স্পষ্টভাবে এগিয়ে ছিল কিংস। অবশেষে ৮৪তম মিনিটে আসে সমতার গোল — রাফায়েল অগুস্তোর ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফিরলে বদলি খেলোয়াড় আরমান ফয়সাল আকাশ ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান। অতিরিক্ত সময়ে আবাহনী জয় পেতে পারত, কিন্তু মোহাম্মদ হৃদয় সুবর্ণ এক সুযোগ নষ্ট করেন।

টাইব্রেকারে কিংস তাদের নিয়মিত গোলরক্ষক মেহেদী হাসান স্রাবনের পরিবর্তে অভিজ্ঞ আনিসুর রহমান জিকোকে মাঠে নামায়। শুরুতেই তার ঝলক দেখান এই অভিজ্ঞ গোলরক্ষক। প্রথম শটই ঠেকিয়ে দেন তিনি। তবে পরবর্তীতে আবাহনী নিখুঁতভাবে চারটি শটই সফলভাবে নেয়, আর কিংস তৃতীয় ও চতুর্থ শট মিস করে ম্যাচ হেরে বসে।

Comments

The Daily Star  | English

'Election Commission shamelessly favouring a particular party'

Hasnat Abdullah says police obstructed NCP leaders and activists from entering EC building

59m ago