'এমন দুরবস্থায় আগে কখনও পড়েনি ম্যানইউ'

পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান ১৪ নম্বরে। অবনমন অঞ্চলের ঠিক আগে অর্থাৎ ১৭ নম্বর অবস্থানে থাকা দলের সঙ্গে পয়েন্টের পার্থক্য মাত্র তিন। এর আগে দল এমন বাজে পরিস্থিতিতে ছিল তা মনে করতে পারবেন না খোদ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকরাও। দলের অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজও মেনে নিলেন দলের দুরবস্থার বিষয়টি।

জেমস পার্কে রোববার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাতে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে সমালোচনা। আর বিষয়টি মেনে নিয়েছেন ইউনাইটেড অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে ফার্নান্দেজ বললেন, 'সমালোচনা করা সহজ, কারণ এই ক্লাব এমন দুরবস্থার মধ্যে আগে কখনও পড়েনি, তাই এটি স্বাভাবিক। ইউনাইটেডের হয়ে খেললে এই সমালোচনা মেনে নিতে হবে।'

তবে হার নিয়ে খুব বেশি বিশ্লেষণে যেতে চাননি তিনি। বরং বাস্তব মেনে নিয়েই বলেন, 'মূল্যায়নের তেমন কিছু নেই। আমরা ম্যাচটা হেরেছি। প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলেছি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম, সেটা ধরে রাখতে পারিনি।'

পুরো মৌসুমই ক্লাবের জন্য কঠিন ছিল—তা অকপটে স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, 'আমরা জানি এটি একটি কঠিন মৌসুম যাচ্ছে। এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। লিগ টেবিলে আমরা যে অবস্থানে আছি, সেটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবের জন্য মানানসই নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছি না। সামনে বড় ম্যাচ আছে, আমাদের এখন মাথা ঠান্ডা করে সামনে তাকাতে হবে।'

টানা বাজে পারফরম্যান্সের পেছনের কারণও খোলামেলা ভঙ্গিতে তুলে ধরেন তিনি, 'আমরা এই অবস্থানে আছি কারণ আমাদের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা ছিল না। সাহসের ঘাটতি আছে আমাদের মধ্যে—আরও বেশি নির্ভীক, আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। আজকে অবশ্য সেই সাহস দেখাতে গিয়েই আমরা গোল হজম করেছি।'

তবে ভক্তদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতাও জানাতে ভোলেননি এই পর্তুগিজ, 'আমাদের সমর্থকরা পুরো মৌসুম জুড়ে খারাপ সময়েও পাশে থেকেছেন। আজও ম্যাচ শেষে তারা আমাদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। এখন সময় এসেছে—আমরা যেন তাদের কিছু ফিরিয়ে দিতে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago