উল্টো এমবাপের বিরুদ্ধে ৯৮ মিলিয়ন ইউরোর মামলা পিএসজির

পিএসজি ছাড়ার পর থেকেই ক্লাবটির সঙ্গে আইনি দ্বন্দ্ব চলছে কিলিয়ান এমবাপের। এই ফরাসি দাবি করেছেন ক্লাবের কাছে এখনও তিনি ৫৫ মিলিয়ন ইউরো পাওনা, যা এক মাস আগে 'ফ্রিজ' করে রাখা হয়েছে। তবে পিএসজি পাল্টা মামলায় আরও অনেক বড় অঙ্ক দাবি করেছে তার কাছে।

সবমিলিয়ে বিষয়টি এখন বেশ জটিল আকার নিয়েছে। ফরাসি গণমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ত জানিয়েছে, পিএসজি একটি পাল্টা মামলা করেছে যার পরিমাণ ৯৮ মিলিয়ন ইউরো। তাদের দাবি, এমবাপের পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়া বিলম্বিত করায় ক্লাব বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কেবল ১৪ মিলিয়ন ইউরোই সফলভাবে 'ফ্রিজ' করা সম্ভব হয়েছে।

২০২৩ সালের গ্রীষ্মের ঘটনাগুলো নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছে দুই পক্ষই। ক্লাব বলছে, এমবাপে মৌখিকভাবে সম্মতি দিয়েছিলেন নির্দিষ্ট কিছু অর্থ গ্রহণ না করার বিষয়ে। কিন্তু এমবাপের আইনজীবী এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। আগামী ২৬ ম্যাচ এই মামলার রায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মূলত দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের শুরু এমবাপে ফ্রি এজেন্ট হয়ে পিএসজি ছাড়ায়। চলতি মৌসুমের শুরুতে বিনে পয়সায় ফরাসি ক্লাব ছাড়েন তিনি। যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই তাকে পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল লসব্লাঙ্কোসরা। এই মৌসুমেই সফল হয় তারা। যেখানে এমবাপেকে ছাড়তে চায়নি পিএসজি। অন্তত ফ্রি এজেন্ট হিসেবে তো নয়ই।

এর আগে ২০২২ সালে এমবাপে পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের নতুন এক বিশাল আর্থিক চুক্তিতে সই করেন। কিন্তু ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়েই তিনি জানিয়ে দেন, তিনি চুক্তি নবায়ন করবেন না এবং মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ক্লাব ছাড়তে চান। তখন থেকেই তার উপর অসন্তুষ্ট ক্লাবটি।

মূলত ক্লাব চেয়েছিল এমবাপেকে বিক্রি করে ট্রান্সফার ফি পেতে, যাতে ক্লাব আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। উল্টো এমবাপে দাবি করেন, ক্লাব তাকে ৫৫ মিলিয়ন ইউরো বেতন ও বোনাস হিসেবে দেওয়ার কথা ছিল, যা তাকে এখনো দেওয়া হয়নি। যা চুক্তির শেষ বছরে খেলার জন্য প্রাপ্য পারফরম্যান্স বোনাস ও লয়্যালটি বোনাস।

উল্লেখ্য, এর আগে পিএসজি জানিয়েছিল, তারা এই বিরোধের নিষ্পত্তি বাণিজ্যিক আদালতে করবে। কিন্তু এমবাপের আইনজীবী আইনজীবী তা পুরো ক্রীড়া আইনি ব্যবস্থার লঙ্ঘন হিসাবে দেখেন।

Comments

The Daily Star  | English

IMF reaches agreement on $1.3 billion credit facility for Bangladesh

The global lender reaches agreement on third, fourth reviews of credit facility for the country

54m ago