নাপোলিকে চ্যাম্পিয়ন করে ‘ম্যাকফ্রাতম’ উপাধি পেলেন ম্যাকটমিনে

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিলেন লম্বা সময়। তবে স্কট ম্যাকটমিনের ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবে সময় কেটেছে মূলত সাইডলাইনে বসে, অনেকটা আড়ালে পড়ে ছিলেন। নয় মাস আগে নাপোলিতে যোগ দিয়ে বদলে গেল তার পথ। দারুণ পারফরম্যান্সে নিজেকে মেলে ধরে নাপোলিকে সিরি আ জেতালেন, হলেন মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়। হতাশা ভুলে এখন তিনি ফুটবল দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে।
শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠ দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে কালিয়ারির বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করে নাপোলি। সবশেষ তিন মৌসুমে এটি তাদের দ্বিতীয় স্কুদেত্তো। এই ম্যাচেও দলের প্রথম গোলটি করেন ম্যাকটমিনে। ৪২তম মিনিটে হাওয়ায় ভেসে অসাধারণ অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে খুঁজে নেন জাল।
ইউনাইটেডে যুব দল থেকে উঠে আসা স্কটল্যান্ডের ২৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার নাপোলির মিডফিল্ডের মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছেন সিরি আতে নিজের প্রথম মৌসুমেই। কোচ আন্তোনিও কন্তে তাকে দিয়েছেন স্বাধীনভাবে খেলার লাইসেন্স। সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনিও।
ম্যাকটমিনে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ক্লাব ছেড়ে এসেছিলেন শুধু প্রকৃত সাফল্যের স্বাদ নিতে নয়, বরং এর চালিকাশক্তি হতে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকাকালীন আট মৌসুমে তিনি জিতেছিলেন কেবল একটি করে এফএ কাপ ও লিগ কাপ। অথচ চলতি মৌসুমেই ইতালিতে পাড়ি জমিয়ে স্বাদ পেয়ে গেছেন লিগ শিরোপার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এবার ১৩টি গোল ও চারটি অ্যাসিস্ট প্রমাণ করে যে, তিনি কতটা দ্রুত নেপলসের জীবনযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন।
এই শহরকে ম্যাকটমিনে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। ইতালীয় ফুটবলকে ভালোবাসতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'এটি একটি সুন্দর দেশ, অথচ আমি আমার জীবনে এখানে কখনও আসিনি। এটা আশ্চর্যজনক। কারণ আমি এখানকার সংস্কৃতি, খাবার ও এখানকার মানুষদের খুব ভালোবাসি, তারা খুব অতিথিপরায়ণ।'
অল্প কদিনেই নেপলসের মানুষের ভালোবাসা আদায় করে নিয়েছেন ম্যাকটমিনে। ক্লাব সমর্থকরা ভালোবেসে তাকে ডাকতে শুরু করেছেন 'ম্যাকফ্রাতম'। 'ফ্রাতম' মানে আমার ভাই, যা তার নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তারা।
ম্যাকটমিনে সেটার যথার্থ প্রতিদান নিচ্ছেন মাঠে, 'আশা করি, মানুষ দেখতে পাবে যে, আমি যখনই মাঠে নামি, তখনই আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করি। একজন ফুটবলার হিসেবে আপনি শুধু এটাই করতে পারেন।'
Comments