সেনেগালের কাছে হেরেও চিন্তিত নন ইংল্যান্ড কোচ

গত শনিবার দুর্বল দল অ্যান্ডোরার বিপক্ষে জিততে হয়েছে ঘাম ঝরিয়ে। কষ্টার্জিত ১-০ ব্যবধানে জয়ের পর, মঙ্গলবার সেনেগালের কাছে ৩-১ গোলে বিপর্যস্ত এক হার বরণ করে নিল ইংল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র এক বছর আগে এমন পারফরম্যান্স কোচ টমাস টুখেলের সামনে ফেলেছে বড় চ্যালেঞ্জ।
যদিও ইংল্যান্ড এখনো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রথম তিনটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। এমনকি একটিতেও গোল হজম করতে হয়নি তাদের। তবুও অ্যান্ডোরা ও সেনেগালের বিপক্ষে মাঠে নামা দলটি যেরকম নিষ্প্রাণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তাতে গ্যালারি থেকে দর্শকদের অসন্তোষ স্পষ্ট ছিল।
এমন পরিস্থিতিতেও, ম্যাচ শেষে টুখেল জানান তিনি খুব একটা চিন্তিত নন এবং আশাবাদী যে দলটিকে আরও ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। সংবাদ সম্মেলনে টুখেল বলেন,
'ফলাফলের দিক থেকে আমরা হয়তো আরও কিছুটা প্রাপ্য ছিলাম। পুরো ম্যাচ জুড়ে দলটা যেন কিছুটা জমে গিয়েছিল, খুব বেশি সক্রিয় ছিল না। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, এটা ছিল এক ধরনের পরীক্ষামূলক ম্যাচ। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।'
বাছাই পর্বের ফলাফলের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, 'আমরা তিনটি বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলেছি, সবগুলো জিতেছি এবং কোনো গোল খাইনি। সেপ্টেম্বরে আমরা প্রতিযোগিতামূলকভাবে ফিরব এবং আরও দুই ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়ে নামব — শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। এখন আমরা আগের চেয়ে বেশি জানি, আরও পরিণত।'
'হার আমি একেবারেই সহ্য করতে পারি না, কিন্তু আমাদের সামনে এখনো এক বছর সময় আছে। বিশ্বকাপ তো আগামী সপ্তাহেই নয়। খেলোয়াড় নির্বাচনের প্রতিযোগিতা ও মানদণ্ড আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরে আরও কঠোর হবে — কারণ তখনই আমরা বিশ্বকাপ মৌসুমে প্রবেশ করব। এটা স্বাভাবিকভাবেই হবে, আর সেই জায়গা থেকেই আমরা এগোব,' যোগ করেন টুখেল।
সেনেগালের বিপক্ষে এই হার ইংল্যান্ডের ইতিহাসে আফ্রিকান কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম পরাজয়। এটি ছিল তাদের ২২তম ম্যাচ। একইসঙ্গে, এই প্রথম তারা আফ্রিকান কোনো দলের বিপক্ষে তিন গোল হজম করল।
স্বাভাবিকভাবেই এই দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স কোচ টুখেলের জন্য গ্রীষ্মকালজুড়ে নানা চিন্তার খোরাক হয়ে থাকবে। ইংল্যান্ড আবার মাঠে ফিরবে সেপ্টেম্বরে, বাছাইপর্বে তখন তাদের প্রতিপক্ষ অ্যান্ডোরা ও সার্বিয়া।
Comments