ক্লাব বিশ্বকাপকে 'বড় সাফল্য' বলছেন ফিফা সভাপতি

আজ রাতেই ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বিস্তৃত ক্লাব বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে। আর এরই মধ্যে একে 'বড় সাফল্য' হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। কিছুটা অসম্পূর্ণ হলেও এই টুর্নামেন্ট এখন স্থায়ী হতে চলেছে তা মেনে নিতে শুরু করেছে ফুতবইল বিশ্ব। 

ইনফান্তিনোর স্বপ্নের এই প্রতিযোগিতা মূলত ২০২১ সালে শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়। ইউরোপসহ অনেক দেশ থেকেই শুরুতে এ প্রতিযোগিতাকে গুরুত্বহীন বলে সমালোচনা করা হয়। ফুটবলের ব্যস্ত ক্যালেন্ডারে একে অতিরিক্ত বোঝা হিসেবে দেখা হচ্ছিল, এবং সন্দেহ ছিল মানুষ আদৌ এতে আগ্রহ দেখাবে কি না।

এমনকি টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পরও লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ একে 'ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত' বলে মন্তব্য করেন। তবে গত এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচগুলো দেখিয়ে দিয়েছে, ক্লপের সেই মতামত সম্ভবত অতিরঞ্জিত। যদিও অনেক ম্যাচে ফাঁকা আসন দেখা গেছে। তবুও ২৫ লাখ দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়—যা বড় সাফল্য হিসেবেই ধরা হচ্ছে।

বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকার দর্শকেরা প্রাণবন্ত ও রঙিন পরিবেশ তৈরি করেছেন। ফাইনাল ম্যাচের আগ পর্যন্ত প্রতিম্যাচে গড়ে প্রায় ৩৯,০০০ দর্শক মাঠে এসেছেন, যা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গড় দর্শক সংখ্যার কাছাকাছি।

ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আর্সেন ভেঙ্গার বলেন, 'মুল্যায়নের আসল বিষয় হলো দর্শকদের প্রতিক্রিয়া। আর দর্শকসংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। আমি ইয়ুর্গেন ক্লপের মতের সঙ্গে একমত নই, কারণ আমি মনে করি একটি সত্যিকারের ক্লাব বিশ্বকাপের প্রয়োজন আছে। এখানে অংশ নেওয়া সব ক্লাবই আবার খেলতে চাইবে, নিশ্চিত।'

তবে উত্তর আমেরিকার গ্রীষ্মের বিকেলের প্রচণ্ড গরমে খেলা নিয়েও অনেক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আবারও পড়তে চান কি-না তা নিয়েও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফিফা। অনেক ম্যাচেই গরমের প্রভাব পড়েছে এবং বজ্রঝড়ের সতর্কতার কারণে খেলা বিলম্বিতও হয়েছে। একই আবহাওয়া পরিস্থিতি আগামী বছর উত্তর আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হবে ফিফা বিশ্বকাপ।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago