ফাইনালে নামলেই হারিয়ে যায় সালাহর জাদু!

ছবি: এএফপি

শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে নামলেই মোহামেদ সালাহর তারকাদ্যুতি একেবারে ফিকে হয়ে যায়— এমন অভিযোগ কেউ যদি করে থাকেন, তাহলে মিশরীয় ফরোয়ার্ডের ভক্তদের পাল্টা জবাব দেওয়ার উপায় নেই!

সাধারণত বল পায়ে যে চোখ ধাঁধানো জাদুকরী খেলা দেখিয়ে থাকেন সালাহ, ফাইনালে সেটা থাকে অনুপস্থিত। তার পারফরম্যান্স হয়ে পড়ে নখদন্তহীন। গোলের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয় তাকে। সব মিলিয়ে ক্লাবে হোক কিংবা জাতীয় দলে— নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন না তিনি।

গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত নতুন মৌসুমের কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচটিও ছিল না ব্যতিক্রম। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায় সালাহর লিভারপুল। ৩৩ বছর বয়সী ফুটবলার তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি খেলায়।

পরিসংখ্যান অনুসারে, সালাহর রেটিং ছিল লিভারপুলের ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম। কোনো গোল বা অ্যাসিস্ট তিনি করতে পারেননি। এমনকি বড় কোনো সুযোগও তৈরি করতে ব্যর্থ হন।

যদিও কমিউনিটি শিল্ড বড় কোনো ফাইনাল নয় এবং সালাহর খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কথা না, তারপরও এই হারে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তার হতাশাজনক পারফরম্যান্সের ধারাই ফুটে ওঠে।

ফাইনালগুলোতে (কমিউনিটি শিল্ডসহ) সালাহর পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান নিচে তুলে ধরা হলো:

মোট ফাইনাল: ১৩টি
গোল: দুটি (উভয়ই পেনাল্টি থেকে)
অ্যাসিস্ট: দুটি
গড়ে প্রতিটি গোলের জন্য সময়: ৫৮৭ মিনিট
ওপেন-প্লে থেকে গোল: শূন্য (১১৭৪ মিনিট খেলে)
ফাইনালে জয়: পাঁচটি
ফাইনালে হার: আটটি

* সালাহ এখন পর্যন্ত বড় কোনো ফাইনালে ওপেন-প্লে থেকে গোল করতে পারেননি। লিভারপুলের হয়ে শুরুর একাদশে থাকা সাতটি ফাইনালে (কমিউনিটি শিল্ড বাদে) তার কোনো অ্যাসিস্ট নেই।

* ২০১৯ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় লিভারপুল। এরপর ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার সিটিকে পরাস্ত করে কমিউনিটি শিল্ড ঘরে তোলে তারা। দুটি ম্যাচেই পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন সালাহ।

* ২০১৭ সালে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে মোহামেদ এলনেনির গোলে অ্যাসিস্ট করেছিলেন সালাহ। যদিও তার জাতীয় দল মিশর রানার্সআপ হয়েছিল ক্যামেরুনের কাছে হেরে। আর ২০২৩ সালের কমিউনিটি শিল্ডে ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের গোলেও তার সহায়তা ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

5G goes live, but with few phones to connect

Bangladesh’s long-awaited 5G rollout began this week, but a lack of compatible handsets means the next-generation network is unlikely to see mass adoption anytime soon.

2h ago