হালান্ডের জোড়া গোল, উলভসকে গুঁড়িয়ে শুরু ম্যান সিটির

গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ম্যানচেস্টার সিটির পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। নতুন মৌসুমের শুরুতে সেই ব্যর্থতা ঝেড়ে পুরনো ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিল তারা। আর্লিং হালান্ড করলেন জোড়া গোল, জাল খুঁজে পেলেন দুই নতুন ফুটবলার টিয়ানি রাইন্ডার্স ও রায়ান চেরকি। দাপুটে পারফরম্যান্সে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সকে গুঁড়িয়ে দিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে উড়ন্ত সূচনা করেছে ম্যান সিটি। শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-০ গোলের বড় জয়ের স্বাদ পেয়েছে দলটি। দুই অর্ধে দুবার করে লক্ষ্যভেদ করে সিটিজেনরা।
এই ম্যাচে সিটির চার খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়েছে প্রিমিয়ার লিগে। ডাচ মিডফিল্ডার রাইন্ডার্স ও ফরাসি উইঙ্গার চেরকি ছাড়া বাকি দুজন হলেন ইংলিশ গোলরক্ষক জেমস ট্র্যাফোর্ড ও আলজেরিয়ান লেফট ব্যাক রায়ান আইত নুরি। এদের মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন চেরকি। বাকিরা ছিলেন শুরুর একাদশে।
৫৮ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা সফরকারীরা গোলমুখে ১৫টি শট নিয়ে লক্ষ্য রাখে চারটি। সবগুলো থেকে গোল আদায় করে নেয় তারা। বিপরীতে, গোলপোস্টে উলভসের নয়টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি।
বেশ ধীরগতিতে শুরু হওয়া খেলায় ১৯তম মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন হালান্ড। বার্নার্দো সিলভার ক্রসে ছয় গজের বক্সের ভেতর থেকে তার হেড চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। পাঁচ মিনিট পর স্বাগতিকদের মার্শাল মানেৎসি জাল খুঁজে নিলেও তিনি ছিলেন অফসাইডে। তাই বাতিল হয় ওই গোল।
এরপর চার মিনিটের মধ্যে দুবার নিশানা ভেদ করে চালকের আসনে বসে পড়ে সিটিজেনরা। ৩৪তম মিনিটে রাইন্ডার্স উলভসের একাধিক ফুটবলারকে কাটিয়ে ডি-বক্সের ডানদিকে বল বাড়ান। তারপর রিকো লুইসের ক্রসে খুব কাছ থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান হালান্ড। ৩৭তম মিনিটে গোলদাতাদের তালিকায় নাম ওঠান রাইন্ডার্স নিজেই। ডি-বক্সে অস্কার ববের বাড়ানো পাসে ছুটে গিয়ে প্রথম ছোঁয়ায় দারুণ শটে জাল কাঁপান তিনি।
ছন্দ ধরে রেখে ৬১তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে স্প্যানিশ কোচ গার্দিওলার দল। ডি-বক্সে রাইন্ডার্সের কাছ থেকে বল পেয়ে নিচু শটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন হালান্ড। উলভসের গোলরক্ষক জোসে সা বলে হাত ছোঁয়ালেও আটকাতে পারেননি।
৭৩তম মিনিটে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হালান্ডের জায়গায় মাঠে ঢোকেন চেরকি। এরপর গোলের উল্লাসে মাততে তার দরকার পড়ে মাত্র আট মিনিট। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গড়ানো শটে নিশানা ভেদ করেন তিনি। বড় লিড ধরে রাখার পাশাপাশি শেষ বাঁশি বেজে ওঠা পর্যন্ত নিজেদের জাল অক্ষত রাখে ম্যান সিটি।
Comments