মাত্র ১ মিনিটের জন্য ম্যানইউকে হারিয়েও গ্রিমসবির জরিমানা

চতুর্থ স্তরের ক্লাব গ্রিমসবি টাউন কারাবাও কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইংল্যান্ডের মহারথী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে তৈরি করেছিল ইতিহাস। তবে এই রোমাঞ্চকর জয়ের আনন্দে ধাক্কা লেগেছে জরিমানার কবলে পড়ে। অযোগ্য খেলোয়াড় নামানোর অপরাধে ইংলিশ ফুটবল লিগ (ইএফএল) শাস্তি দিয়েছে ক্লাবটিকে।
মঙ্গলবার ইএফএল এক ঘোষণায় জানায়, গ্রিমসবিকে ২০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার পাউন্ড স্থগিত রাখা হয়েছে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। তবে একই ভুল পুনরায় করলে স্থগিত জরিমানাও দিতে হবে ক্লাবকে।
ঘটনার শুরু হয়েছিল নতুন সাইনিং ক্লার্ক ওডুয়ারকে ঘিরে। ম্যাচের আগের দিন নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল দুপুর ১২টা। কিন্তু গ্রিমসবি মাত্র এক মিনিট দেরিতে তার নাম নিবন্ধন করে। যদিও কাগজপত্র অনুমোদন পেয়েছিল, কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তিনি ম্যাচ খেলার যোগ্য ছিলেন না। তবুও ব্লান্ডেল পার্কে ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৭৩তম মিনিটে বদলি নামানো হয় ওডুয়ারকে।
তবে এই কেনিয়ান ফুটবলার অবশ্য ইউনাইটেডের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছিলেন। কারণ শুটআউটে তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন যিনি পেনাল্টি মিস করেছিলেন গ্রিমসবির হয়ে। তবে তার সেই ব্যর্থতা সত্ত্বেও গ্রিমসবি ২–২ ড্রয়ের পর অবিশ্বাস্যভাবে ১২–১১ গোলে জয় তুলে নেয় টাইব্রেকারে।
ইএফএল এক বিবৃতিতে জানায়, 'সব প্রমাণ পর্যালোচনার পর বোর্ড মনে করেছে জরিমানার সিদ্ধান্তই সঠিক। বোর্ড আরও উল্লেখ করেছে যে, গ্রিমসবির এই ভুল ইচ্ছাকৃত ছিল না, প্রতারণার কোনো উদ্দেশ্যও ছিল না। ভবিষ্যতে যাতে এমন ভুল না হয় সেজন্য তারা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে।'
নিজেদের বিবৃতিতে গ্রিমসবি বলেছে, 'আমরা আরোপিত জরিমানা মেনে নিচ্ছি এবং প্রতিযোগিতার নিয়ম-কানুন মেনে চলার গুরুত্ব স্বীকার করছি। এই ভুল কোনোভাবেই ইচ্ছাকৃত ছিল না। আসলে নিবন্ধন সমস্যাটি একটি কম্পিউটার ত্রুটির কারণে ধরা পড়তে দেরি হয়েছিল।'
ইংল্যান্ডে এর আগে বড় ক্লাবও একই কারণে শাস্তি পেয়েছে। ২০১৯ সালে লিভারপুলকে ২ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছিল, যখন তারা আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র ছাড়া পেদ্রো চিরিভেল্লাকে নামায়। এর আগে এক্রিংটন স্ট্যানলি (২০১৬) ও সান্ডারল্যান্ড (২০১৩) একই অপরাধে জরিমানা গুনেছিল। চলতি মাসেই একই কারণে এফএ কাপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে নন-লিগ ক্লাব গার্নসিকে।
Comments