এখনও হকি এশিয়া কাপে সুযোগ পেতে পারে বাংলাদেশ?

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার প্রভাবে অনেক ক্রীড়া ইভেন্ট অনিশ্চয়তায় পড়েছে। আর এ পরিস্থিতি আশীর্বাদ হয়ে আসতে পারে বাংলাদেশ হকি দলের জন্য।
সম্প্রতি বাংলাদেশ দল এশিয়া কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এবারই প্রথম এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের হকি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে না তারা। বাছাই (এএইচএফ কাপ) থেকে দুইটি দলকে সুযোগ দেওয়া হয় মূল আসরে। এবার সেই জায়গা নিয়েছে ওমান ও চাইনিজ তাইপে, আর বাংলাদেশ হয়েছে তৃতীয়।
এবারের আট দলের এশিয়া কাপ আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারতের বিহারে আয়োজনের কথা রয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জনকারী দলগুলোর একটি। তবে পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সদ্য সংঘটিত রাজনৈতিক উত্তেজনা ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের খেলার সম্ভাবনাকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।
ফলে এখন দুটি পথই খোলা রয়েছে এএইচএফের সামনে। প্রথমত, প্রতিযোগিতাটি অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া, অথবা দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে ভারতের মাটিতেই খেলা আয়োজন করা।
এই বিষয়ে ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান বলেন, 'আমরা এখনও কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে শুনিনি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সূত্র থেকে যা জেনেছি, তা হলো দুটি সম্ভাবনা—একটি হচ্ছে প্রতিযোগিতা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া, আরেকটি হচ্ছে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই ভারতে আয়োজন করা।'
'এখন যদি দ্বিতীয়টি হয়, অর্থাৎ পাকিস্তান না খেলে, তাহলে একটি জায়গা খালি হবে। যেহেতু এএইচএফ আট দলের দুইটি গ্রুপ করতে চাইবে, সেক্ষেত্রে এএইচএফ কাপে তৃতীয় হওয়া বাংলাদেশই সেই ফাঁকা জায়গা পূরণের সবচেয়ে সম্ভাব্য দাবিদার। তবে এই সিদ্ধান্ত আসবে হকি পরিচালনাকারী সংস্থা এএইচএফ ও আন্তর্জাতিক ফেডারেশন এফআইএইচ থেকে,' যোগ করেন তিনি।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় বিকল্পটি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বেশি। কারণ ভারত এশিয়া ও বিশ্ব হকির বড় বাজার, তাই তারা এত কাছাকাছি সময়ে প্রতিযোগিতা অন্য কোথাও সরাতে চাইবে না। উপরন্তু, ভারতীয় দল হয়তো বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতেও রাজি হবে না—যেখানেই হোক না কেন।
এই পরিস্থিতিতে যদি প্রতিযোগিতা পাকিস্তান ছাড়া ভারতে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে বাংলাদেশ সুযোগ পেয়ে যেতে পারে, যদিও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
Comments