বিশ্বকাপ মাথায় রেখে ‘ব্যাটিং উইকেটে’ খেলতে চায় বাংলাদেশ
আইসিসি ইভেন্টে উইকেট সাধারণত থাকে রান প্রসবা। বিশেষ করে ভারতের অনেকগুলো ভেন্যুতেই আছে দারুণ ব্যাটিং বান্ধব উইকেট। আসছে অক্টোবর-নভেম্বরে এসব মাঠে বিশ্বকাপে তিনশো ছাড়ানো রান তাড়া দেখা যেতে পারে হরহামেশা। এই চিন্তা মাথায় রেখে ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে হারের ভীতি বাদ দিয়ে 'ব্যাটিং উইকেটে' খেলার চিন্তা করছেন তামিম ইকবাল।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচই শুরুতে রাখা হয়েছিল মিরপুরে। কিন্তু পরে একটি ওয়ানডে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে, যেখানকার উইকেট সাধারণত ব্যাটারদের দেয় বেশি সহায়তা।
রোববার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক তামিম জানালেন, ইংল্যান্ড সিরিজ থেকেই তারা চিন্তায় এনেছেন বদল, 'এটার (উইকেট বদল) একটা শুরু আমি বলতে পারি এই সিরিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচই মিরপুরে ছিল। আমরা পরে একটি ম্যাচ চট্টগ্রামে নিয়ে গেছি। চট্টগ্রামের উইকেট কেমন, সবারই ধারণা আছে। এটাই আমার মতে, এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। বিশ্বকাপে যখন আমরা খেলতে যাব, বেশির ভাগ ব্যাটিং উইকেটেই খেলতে হবে। এসব উইকেটে আমাদের অভ্যস্ত হতে হবে।'
ইংল্যান্ডের পর পরই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যেখানেও বেশ ভালো উইকেট থাকার সুনাম আছে। মিরপুরের ডেরা ছেড়ে এসব উইকেটে খেলে জেতার চ্যালেঞ্জ নিতে চান তামিম, 'যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ থাকে, যেমন এই সিরিজটি, বিশ্বের যে কোনো দলই চাইবে জয়ের জন্য। আমরাও জিততে চাই। তবে 'ট্রু' উইকেটে আমাদের আরেকটু ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত। এটা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টে আমরা কথা বলেছি। এই সিরিজের পর আরও সিরিজ আছে। ওই সিরিজগুলো নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে যে, কী ধরনের উইকেটে খেলব বা খেলব না।'
ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ছাড়াও ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে ইংল্যান্ডের মাঠে খেলার সূচি আছে তামিমদের। অধিনায়ক চাইছেন যতটা সম্ভব ভালো উইকেটে খেলে নিজেদের বাজিয়ে দেখতে। এজন্য কিছু ফল খারাপ হলেও তা মেনে নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন সবাইকে, 'এই পরিবর্তনটা করতে গেলে ফল নিয়ে ভাবলে কিন্তু চলবে না। আমরা তো এখানে অনেকেই হার কোনোভাবে মানতে পারি না বা চিন্তাই করি না যে হারতে পারি। ভিন্ন কিছু করতে গেলে কিন্তু সবদিক থেকেই খোলামেলা থাকতে হবে। এখন হয়তো ফল নাও আসতে পারে। তবে এখন যে কাজগুলি করছি, হয়তো তিন-চার মাস পরে ফল মিলতে পারে। এই জিনিসটা আমাদের দল, বোর্ড, মিডিয়া, সবাইকে বুঝতে হবে।'
Comments