লো-স্কোরিং লড়াইয়ে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ডাচদের রোমাঞ্চকর জয়

ছবি: এএফপি

একেবারে সাদামাটা পুঁজি। সেটা নিয়েও প্রাণপণ লড়াই করল সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু বোলারদের নৈপুণ্যে পুরোপুরি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারলেন না ফিল্ডাররা। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের কাছে হার মানতে হলো আরব আমিরাতকে।

রোববার গিলংয়ের কার্ডিনিয়া পার্কে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের 'এ' গ্রুপের ম্যাচের ফয়সালা হয়েছে শেষ ওভারে। ১ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে ডাচরা। আরব আমিরাতের ৮ উইকেটে ১১১ রানের জবাবে ১৯.৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১১২ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে তারা।

১৩ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৭৬ রান। বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল তারা। কিন্তু ১৪তম ওভারে উল্টো জয়ের পাল্লা ভারী হয়ে যায় আরব আমিরাতের। পেসার জুনায়েদ সিদ্দিক দাগেন তোপ। দুই অভিজ্ঞ টম কুপার ও রোয়েলফ ভ্যান ডার মারওয়াকে তিন বলের মধ্যে বিদায় করেন তিনি।

পঞ্চম বলেও উইকেট পেতে পারতেন জুনায়েদ। টিম প্রিঙ্গেলের তোলা সহজ ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি অধিনায়ক চুন্দাঙ্গোপইল রিজওয়ান। এর খেসারত দিতে হয় আরব আমিরাতকে। শূন্য রানে বেঁচে যাওয়া প্রিঙ্গেল পরে আউট হন ১৬ বলে ১৫ রানে। দলনেতা স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৩০ বলে ২৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি তিনি গড়েন। এডওয়ার্ডস নেদারল্যান্ডসকে জিতিয়ে ১৯ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আরব আমিরাত কখনোই চালিয়ে খেলতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারালেও তারা তোলে কেবল ৩১ রান। ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৭ রান। পরের ১০ ওভারেও রানের চাকা সচল হয়নি। শেষ ৩ ওভারে ১৫ রান যোগ করতে তারা হারায় ৫ উইকেট।

আরব আমিরাতের পক্ষে ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম। তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান ও ২ ছক্কা। দলের দুই অঙ্কে পৌঁছানো তিনটি জুটিতেই ছিল তার অবদান। এছাড়া, ভৃত্য অরবিন্দ ১৮, কাশিফ দাউদ ১৫ ও চিরাগ সুরি ১২ রান করেন। টপ অর্ডারের এই চারজন ছাড়া বাকিরা আটকে যান এক অঙ্কের ঘরে।

অল্প রানে আরব আমিরাতকে বেঁধে ফেলতে নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৩ উইকেট নেন ম্যাচসেরা বাস ডি লিড। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ৩ ওভারে দেন ১৯ রান। ৪ ওভারে ২ উইকেট নিতে ফ্রেড ক্লাসেনের খরচা ১৩ রান। বাঁহাতি স্পিনার প্রিঙ্গেলও ছিলেন আঁটসাঁট। ১৩ রানে তার শিকার ১ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই ১২ রান তোলে ডাচরা। ওই ওভারে ২ চার মারা বিক্রমজিত সিং পরের ওভারে বোল্ড হন বাসিল হামিদের বলে। আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাউড ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। তাকে বিস্ফোরক হতে দেননি ৪ ওভারে ২৪ রানে ৩ উইকেট দখল করা জুনায়েদ। ১৮ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান আসে ও'ডাউডের ব্যাট থেকে।

ডি লিড ও কলিন অ্যাকারম্যান ফেরেন থিতু হয়ে। এরপরই ম্যাচে নাটকীয় মোড় আসে জুনায়েদের কল্যাণে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশা জাগিয়েও জয় অধরা থেকে যায় আরব আমিরাতের। বরং বারবার রঙ বদলানো ম্যাচে উল্লাসে মাতোয়ারা হয় ডাচরা।

Comments

The Daily Star  | English

‘No bone, do not press’

Bandage on CU student Mamun’s head reads

23m ago