কোভিড আক্রান্ত খেলোয়াড়দেরও বিশ্বকাপ খেলতে বাধা নেই!
শুরু হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২। ইতোমধ্যে মাঠে গড়িয়েছে প্রথম পর্বের তিনটি ম্যাচ। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এমন মেগা আসরে খেলোয়াড়দের ওপর নেই কোভিড টেস্টের কোন বাধ্যবাধকতা। ফলে কোন ক্রিকেটার যদি কোভিড আক্রান্তও হন, বিশ্বকাপের ম্যাচে খেলতে থাকছে না কোন বাধা!
কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পরার পর এবারই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে কোন বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট ছাড়া। আইসিসি বা অস্ট্রেলিয়া সরকারের কেউই দেয়নি এমন কোন নির্দেশনা। অথচ চলতি বছরের শুরুতে এই ভ্যাক্সিন না নেওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচকে।
তবে এবার হঠাৎই সুর পাল্টেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, 'যদি একজন খেলোয়াড় কোভিড পজেটিভ হওয়ার পরও খেলার মতো অবস্থায় থাকেন তিনি খেলতে পারবেন। মেডিকেল টিমের পরামর্শ অনুযায়ী এমনটা করতে পারবেন আক্রান্ত খেলোয়াড়রা।'
মাস্ক পরা ও সতীর্থদের থেকে দুরত্ব বজায় রাখাকেই নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট মনে করছে বিশ্বকাপের আয়োজকরা, 'আক্রান্ত খেলোয়াড়কে বায়ো সিকিউরিটি অ্যাডভাইসরি গ্রুপের প্রটোকল মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে ও সতীর্থদের থেকে দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।'
এমন অদ্ভুত ঘটনার নজির অবশ্য আগেই দেখিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আগস্টে অজি নারী দলের অলরাউন্ডার তাহলিয়া ম্যাকগ্রা কমনওয়েলথ গেমসের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন কোভিড নিয়েই।
বিশ্বকাপ চলাকালীন কোন খেলোয়াড় কোভিডে আক্রান্ত হলে তার বদলী খেলোয়াড় স্কোয়াডে যুক্ত করার সুযোগও থাকছে দলগুলোর জন্য। ফলে স্কোয়াডের শক্তিমত্তা নিয়ে এবার আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না দলগুলোকে। পূর্ণ মনোযোগ মাঠের খেলায় দিতে পারবে ক্রিকেটাররা।
নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সকল ক্ষমতা এবার দলগুলোকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি, 'হাই ট্রাস্ট মডেলে আয়োজিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অর্থাৎ সব দলকেই তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আইসিসি প্রধান মেডিকেল অফিসার সর্বদা পরামর্শ দেবার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।'
কোভিডের শুরু থেকেই এ বিষয়ে একবিন্দু ছাড় দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। তবে গত সপ্তাহেই কোভিড আক্রান্তদের বাধ্যতামূলক আইসোলেসনে যাবার আইন তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও খেলোয়াড়দের ভোগান্তি কমিয়ে এনেছে এই পরিবর্তন। ২০২০ থেকেই বায়োবাবলের কঠিন নিয়মে বন্দী ছিল ক্রিকেট।
Comments