প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বেহাল দশা

ব্রিসবেনের অ্যালান বোর্ডার মাঠে আফগানদের কাছে  ৬২  রানে হেরেছেন সাকিব আল হাসানরা।  আফগানিস্তানের ১৬০ রানের জবাবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা কুড়ি ওভার খেলে করতে পেরেছেন স্রেফ  ৯৮  রান।
BD vs AFG
ছবি: টুইটার

চোটের কারণে ছিলেন না লিটন দাস। কিন্তু বাকিরা থেকেও যেন কেবল হাবুডুবু খেলেন। আফগানিস্তানের বোলিংয়ের কূল কিনারা করতে না পেরে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ল বাংলাদেশ দল। অফিসিয়াল গা গরমের ম্যাচ ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় তৈরি করল অস্বস্তি।

ব্রিসবেনের অ্যালান বোর্ডার মাঠে আফগানদের কাছে  ৬২  রানে হেরেছেন সাকিব আল হাসানরা।  আফগানিস্তানের ১৬০ রানের জবাবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা কুড়ি ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছেন স্রেফ  ৯৮  রান।

লিটন না থাকায় নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। একাদশ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে টিকেছিলেন তিনি। তবে তার ব্যাটিং তৈরি করেছে বিস্তর প্রশ্ন।

কুড়ি ওভারের মার-কাটারি ক্রিকেটে মিরাজ ৩১ বল খুইয়ে আউট হন ১৬ রান করে! মিরাজের আউটের আগেই অবশ্য আসা-যাওয়ার মিছিলে বাংলাদেশের ইনিংস তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে।

১৬১ রান তাড়ায় নেমে ২৮ রানেই পড়ে যায় ৫ উইকেট।  উইকেট পতনের শুরু শান্তকে দিয়ে। বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে যান ৯ বলে ২ চারে ১২ করা শান্ত। তিনে নেমে সৌম্য সরকার টিকতে পেরেছেন কেবল ৪ বল। তার হন্তারক অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান।

ফারুকি পর পর দুই বলে আউট করে দেন সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেনকে। তার ভেতরে ঢোকা বল স্টাম্প ভেঙে দেয় বাংলাদেশ অধিনায়কের। আফিফ ফেরেন এলবিডব্লিউতে। ছয়ে নামা ইয়াসির আলিও ব্যর্থ। ফারুকির বলে পুল করে উড়াতে পারেননি। টপ এজ হয়ে দেন সহজ ক্যাচ।

চরম বিপর্যস্ত দলকে উদ্ধারে জুটির চেষ্টায় ছিলেন মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান। তবে টি-টোয়েন্টির চাহিদার ধারেকাছেও ছিলেন না মিরাজ। একের পর এক ডট খেলেছেন, উইকেট আগলে পড়ে থাকাই করেছেন লক্ষ্য। তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি।

জুটিতে ১৮ রান যোগ করার পর নুরুল ফেরেন ফরিদ আহমেদের বলে। ৮ বলে ১৩ করা কিপার ব্যাটার লফটেড কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে পার করতে পারেননি সীমানা।

নাবিন উল হকের বল এগিয়ে এসে এলোপাথাড়ি উড়াতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন সংগ্রামরত মিরাজ। ৪৭ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর কিছুটা রান বাড়ান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৩২ বলে তার ২৮ রানের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।

টস হেরে বোলিং পাওয়া বাংলাদেশকে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারে হজরতুল্লাহ জাজাইকে ফেরান তিনি। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ তেতে ছিলেন। তার ১৯ বলে ২৭ রানের ছোট ঝড় থামে সাকিবের বলে।

এরপর আফগানদের টেনে এনেন ইব্রাহিম জাদরান। ৩৯ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৪৬ করেন তিনি। মাঝের ওভারে দারুণ বল করেছেন হাসান মাহমুদ। মাত্র ২৪ রান দিয়ে তিনি আউট করেন দুই জাদরান ইব্রাহিম ও নাজিবুল্লাহকে। দলের সেরা বোলিং অবশ্য তাসকিনের। ৩০ রান খরচায় তিনি পেয়েছেন ৩ উইকেট।

আফগানদের ইনিংসের শেষটায় তাণ্ডব তুলেন মোহাম্মদ নবি। মাত্র ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৪১ করেছেন তিনি। তাতেই তারা পেয়েছে জুতসই পুঁজি। মোস্তাফিজুর রহমান একাদশে ফিরলেও ছিলেন সাদামাটা। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য।

এমনিতে প্রস্তুতি ম্যাচ হার-জিত বড় কথা নয়। কিন্তু খেলার ধরণ, বিবর্ণ পারফরম্যান্স বিশ্বকাপে নামার আগে বাংলাদেশকে গভীর চিন্তাতেই ফেলার কথা।

Comments

The Daily Star  | English
Detained opposition activists

The flipside of the democracy carnival

Bereft of the basic rights to assemble and express, let alone protest, the people of Bangladesh are currently bearing the brunt of the coercive apparatuses of the state.

10h ago