টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে যা আছে

যেকোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসরই আইসিসির নির্দিষ্ট নিয়মে অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রত্যেক আসরের জন্য কিছু কিছু আলাদা প্লেয়িং কন্ডিশনও থাকে।
T20 World Cup 2024

যেকোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসরই আইসিসির নির্দিষ্ট নিয়মে অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রত্যেক আসরের জন্য কিছু কিছু আলাদা প্লেয়িং কন্ডিশনও থাকে। এবার যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া বিশ দলের বিশ্বকাপেও যেমনটি থাকছে।

খেলা হবে যে ফরম্যাটে

২০ দলের টি-টোয়েন্টি আসরে চার ধাপ। প্রথমেই আছে গ্রুপ পর্বের প্রথম রাউন্ড। পাঁচটি করে দল নিয়ে করা হয়েছে চার গ্রুপ। গ্রুপে থাকা প্রতিটি দল একে অন্যের বিপক্ষে একবার করে মুখোমুখি হবে। পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল উঠবে সুপার এইটে। যদি সমান সংখ্যক জয় নিয়ে একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যায় তাহলে প্রথমে বিবেচনায় আসবে রানরেট, রানরেটে এগিয়ে থাকা দল যাবে পরের ধাপ। রানরেটও সমান হলে হেড টু হেডে কারা জিতেছে তা দেখা হবে।

সুপার এইটেও থাকবে দুই গ্রুপ। একেক গ্রুপে থাকবে চার দল। প্রত্যেকে খেলবে একে অন্যের বিপক্ষে/  দুই গ্রুপের সেরা দুটি দল উঠবে সেমিফাইনালে। সেমিফাইনাল জয়ীরা স্বাভাবিকভাবে খেলবে ফাইনাল।

যদি ম্যাচ টাই হয় তবে কি হবে?

বিশ্বকাপে কোন ম্যাচে দুই দলের স্কোর সমান হয়ে গেলে অর্থাৎ ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারে হবে মীমাংসা। সুপার ওভারও টাই হলে আরেকটি সুপার ওভার হবে। যতক্ষণ ফল না আসে সুপার ওভার চলতে থাকবে।

প্রতিকূল আবহাওয়ায় ম্যাচ ভেস্তে গেলে কি হবে

খারাপ আবহাওয়ায় গ্রুপ পর্বে ও সুপার এইটে ম্যাচ ভেস্তে গেলে তাতে নেই কোন রিজার্ভ ডে। গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইটে ম্যাচের ফল বের করার জন্য নূন্যতম ৫ ওভার করে খেলা হতে হবে। ম্যাচ পরিত্যাক্ত হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। সেমিফাইনাল ও ফাইনালের বেলায় ফলাফল হওয়ার জন্য খেলা হতে হবে কমপক্ষে ১০ ওভার।

প্রথম সেমিফাইনাল ও ফাইনালে আছে রিজার্ভ ডে। সময় স্বল্পতায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিজার্ভ ডে রাখা যায়নি। তবে একটা ভারসাম্যের ব্যবস্থা থাকছে। প্রথম সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচ শেষ করার জন্য আম্পায়ারদের হাতে থাকবে বাড়তি ১৯০ মিনিট। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে যেহেতু রিজার্ভ ডে নেই, ম্যাচ শেষ করতে রাখা হবে বাড়তি ২৫০ মিনিট। তবে তাতেও যদি ফলাফল না আনা যায় তাহলে সুপার এইটের গ্রুপের অবস্থানের ভিত্তিতে এক দল উঠবে ফাইনালে।

সুপার এইটের সিডিং

চার গ্রুপের শীর্ষ বাছাই ধরে নিয়ে সুপার এইটের জন্য আগেই একটা সিডিং করা আছে। যেমন 'এ' গ্রুপ থেকে ভারত ও পাকিস্তান যথাক্রমে এ১ ও এ২। তাদের টপকে যদি অন্য কোন দল সুপার এইটে উঠে তাহলে সেই দল পাবে বাদ পড়া দলের সিডিং নম্বর। ধরা যাক ভারতের বদলে সুপার এইটে উঠে গেল আয়ারল্যান্ড। তারা হয়ে যাবে এ১। সুপার এইটে সেক্ষেত্রে তারা পড়বে গ্রুপ-ওয়ানে।

বাংলাদেশের গ্রুপ 'ডি' তে র‍্যাঙ্কিং বিচারে সিডিং পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকা ডি১, শ্রীলঙ্কা হবে ডি২। এই দুই দল সুপার এইটে উঠলে শ্রীলঙ্কা যাবে গ্রুপ ওয়ানে, প্রোটিয়ারা গ্রুপ টুতে। ধরা যাক বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে টপকে সুপার এইটে উঠল। তাহলে তারা হবে ডি২। জায়গা পাবে গ্রুপ টুতে।

এভাবে সেমিফাইনালের একটা সম্ভাব্য হিসেব করে নেওয়া হয়েছে। ভারত যদি গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইট পেরিয়ে সেমিতে উঠে তাহলে তারা খেলবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, সেটা হবে গায়ানায়।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta flowing 31cm above danger level, flood fears loom in low-lying areas

Water levels of rivers in Lalmonirhat and Kurigram districts have been rising steadily due to incessant rains in the last three consecutive days, triggering fears of floods in the low-lying shoal areas.

56m ago