দ্বিতীয় আবেদনেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাননি লামিচানে

ছবি: এএফপি

বিশ্বকাপে সন্দীপ লামিচানেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টার কমতি রাখেনি নেপাল ক্রিকেট বোর্ড। সরকারের হস্তক্ষেপেও কাজ হয়নি। দ্বিতীয় আবেদনেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া হয়নি নেপালের সাবেক অধিনায়কের। বিশ্বকাপের মঞ্চে তাই দেশটি নামবে তাদের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিকেটারকে ছাড়াই।

এই লেগ স্পিনারের প্রথম আবেদন যুক্তরাষ্ট্র নাকচ করে দেয় গত সপ্তাহে। এরপর নেপাল সরকার ও ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল তার হয়ে চেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি। নেপালের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ক্রিকেটার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২০২২ সালের অক্টোবরে। ১৮ বছর বয়সী এক নারীর ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তার উপর। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেয় নেপালের ক্রিকেট বোর্ড।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে এরপর আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়। অর্থদণ্ডের পাশাপাশি আট বছরের কারাদণ্ড জারি হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতে আপিল করলে বদলে যায় লামিচানের ভবিষ্যৎ। ২০২৪ সালের মে মাসে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে পাটান হাই কোর্টের রায়ে তিনি খালাস পেয়ে যান। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপালও তাই তার ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

আইসিসির ক্রিকেট কমিটির অনুমতি ছাড়া ২৫ মে পর্যন্ত সুযোগ ছিল বিশ্বকাপের স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার। নেপাল সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও মার্কিন মুলুকে লামিচানেকে পাঠানোর চেষ্টা করেছে। সে চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর দুঃখিত লামিচানে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালেও তাকে একবার ভিসা দেয়নি আমেরিকা মহাদেশের দেশটি। বিশ্বকাপের জন্য প্রথমবার ভিসা নাকচ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, 'এবং নেপালে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আবার সেটি করল, যেটি ২০১৯ সালে করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার ভিসা নাকচ করেছে। দুর্ভাগ্যজনক। আমি দুঃখিত নেপাল ক্রিকেটের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে।'

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেপালের ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র লামিচানের দুইশর বেশি উইকেট আছে। তাকে ছাড়াই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেপাল খেলতে নামবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এছাড়া গ্রুপ ডিতে রোহিত পাউডেলের দল প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে। যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ানে আয়োজিত নবম আসর হচ্ছে নেপালের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

Comments

The Daily Star  | English
CAAB pilot licence irregularities Bangladesh

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

11h ago