পিএনজির বিপক্ষে চাপে পড়ে চেজের ব্যাটে উদ্ধার ওয়েস্ট ইন্ডিজ

West Indies

মামুলি পুঁজি নিয়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলো পাপুয়া নিউগিনি (পিএনজি)। এক পর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলো তারা। তবে রোস্টন চেজ ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত হতাশায় পড়তে হয়নি স্বাগতিকদের।

রোববার গায়ানায় বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৩৬ রান করেছিলো শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা পিএনজি। ওই রান টপকাতে ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় ক্যারিবিয়ানদের।  ২৭  বলে ৪২ রান করে প্রবল চাপে দলকে জিতিয়ে নায়ক অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার চেজ।

১৩৬ রান সামলাতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ঝলক দেখান আলেই নাও। দারুণ লেন্থ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে খালি হাতে ফেরান জনসন চার্লসকে। নিকোলাস পুরানকেও শূন্য রানে আউট করতে পারতেন তিনি। জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদন আম্পায়ার নাকচ করলে রিভিউ নেয়নি পিএনজি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউ নিলে সফল হতো তারা। এরপরই বৃষ্টি নামায় খানিকক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা।

বৃষ্টি বিরতির পর নেমে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন ব্র্যান্ডন কিং, জীবন পাওয়া পুরানও তাতে তাল মেলান। তরতরিয়ে বাড়তে থাকে রান। পুরান যদিও মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেননি। ডট বলের চাপ নিজের উপর নিয়ে আসেন অহেতুক। ২৭ বলে ২৭ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার।

কিং শুরুর আগ্রাসন ধরে রাখতে না পারলেও জুতসই ছিলেন। কিন্তু ভালার অফ স্পিনে তালগোল পাকিয়ে দেন ক্যাচ। তার ২৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংসের পর খেই হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা।

অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ১৪ বলে ১৫ রান করে চ্যাড সোপারের বলে ধরা দেন কিপারের গ্লাভসে। আউট হয়ে রিভিউ হারিয়েও দলকে হতাশ করেন তিনি। দুই ওভার পর ভালা ডরিগার গ্লাভসে জমা করেন শেরফাইন রাদারফোর্ডকেও। ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন কিছুটা কেঁপে উঠে স্বাগতিক দল।

মন্থর উইকেটে ৪ ওভারে প্রয়োজন দাঁড়াত ৩৯ রানের। রাসেল ক্রিজে এসেই ছক্কা মেরে দেন ভরসা।

শেষ ৩ ওভারে দরকার তখন ৩১ রানের। শুরুতে সময় নেওয়া চেজ এরপরই জ্বলে উঠেন। বড় বড় শটে নিমিষেই শেষ করতে থাকেন ম্যাচ। ৪ বাউন্ডারি, ২ ছক্কায় কাজ সারেন ডানহাতি ব্যাটার।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাপুয়া নিউগিনি দ্বিতীয় ওভারেই হারায় টনি উরার উইকেট। পরের ওভারে লেগা সাইকাও ফিরে গেলে ৭ রানে পড়ে যায় ২ উইকেট।

দলের বিপদে ভরসা দিচ্ছিলেন অধিনায়ক আসাদ ভালা। থিতু হতে সময় নিলেও চার-ছয়ে প্রথম অভিপ্রায় দেখান তিনি। আলজারি জোসেফের বলে স্কয়ার কাটে চার মারতে গিয়ে পয়েন্টে চেজের দারুণ ক্যাচে থামেন তিনি। পাঁচে নেমে হিরি হিরিও টিকতে পারেননি।

বাকি পথে পিএনজিকে টেনে নেন সেসে বাউ। চার্লস আমিনিকে নিয়ে ৪৪ রান যোগ করেন এই ব্যাটার। নিজে তুলে নেন ফিফটি। ৪৩ বলে ৫০ করে আলজারির স্লোয়ার বুঝতে না পেরে হন বোল্ড।

পিএনজির রান পরে জুতসই জায়গায় নিতে ভূমিকা রাখেন কিপ্লিং ডরিগা। মাত্র ১৮ বলে ৩ চারে অপরাজিত ২৭ করেন কিপার ব্যাটার। প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৭ থেকে পরের ১০ ওভারে ৭৯ রান উঠিয়ে লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশ। লড়াই পরে বেশ জমিয়েও তোলে তারা। প্রমাণ করে শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে খেলার যথেষ্ট  সামর্থ্য আছে তাদের।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh women's football team qualifies for Asian Cup

Bangladesh women's football team made history as they qualified for the AFC Women's Asian Cup for the first time. 

15m ago