টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রাইজ মানি দ্বিগুণ করল আইসিসি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আর্থিক পুরস্কারের পরিমাণ দ্বিগুণ করেছে আইসিসি। চলতি আসরের জন্য থাকছে মোট ১১.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩২ কোটি চার লাখ টাকার বেশি। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ কোটি ৭ লাখ টাকারও বেশি।
অথচ ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ইংল্যান্ড দলকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। রানার্স দল পাকিস্তান দল পেয়েছিল এর অর্ধেক। অর্থাৎ, ৮ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি প্রকাশ করে আইসিসি। গত দুই আসরের তুলনায় এই প্রাইজমানি প্রায় দ্বিগুণ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থাটি।
এ বছর রানার্সআপ দল পাবে ১.২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ২ লাখ টাকারও বেশি। সেমি-ফাইনালে হেরে যাওয়া দল পাবে ৭৮ লাখ সাড়ে সাত হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকারও বেশি।
সুপার এইট থেকে যারা পরবর্তী রাউন্ডে উত্তীর্ণ হতে পারবে না তারাও পাবে তিন লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। নয় থেকে ১২তম স্থানে থাকা দল পাবে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ টাকারও বেশি।
এছাড়া ১৩ থেকে ২০তম স্থানে থাকা দল পাবে দুই লাখ ২৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় দুই কোটি ৬৪ লাখ টাকারও বেশি। শুধু তাই নয়, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল বাদে প্রতিটি ম্যাচের জয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার পাবে দলগুলো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকারও কিছু বেশি।
উল্লেখ্য, ভারতীয় মুদ্রায় চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দল পুরস্কার পাবে ২০ কোটি ৩৭ লাখ রূপি। যা আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলের সমান অর্থ। আইপিএল এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০ কোটি রূপি অর্থ পুরস্কার পেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
২৮ দিনে ৫৫টি ম্যাচের এই ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়টি ভেন্যুতে। প্রথমবারের মতো এই আসরে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। সবমিলিয়ে এটাই আইসিসির সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
Comments