মনেই হয় না রিয়াদ ভাই এত সিনিয়র: শরিফুল

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার পড়ন্ত বেলায়। উঠতি তারকা শরিফুলের বয়স কেবল ২৩। দুজনের বয়সে এত পার্থক্য থাকলেও শরিফুল বলেছেন, তার মনেই হয় না মাহমুদউল্লাহ এত সিনিয়র। আর অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তকে তিনি নন, সবাই পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন এই পেসার। আরও জানিয়েছেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের সঙ্গে খেলা তার স্বপ্নের মধ্যেই ছিল একসময়।
বাংলাদেশের হয়ে ৮০টির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলা শরিফুল বলেন, 'সত্যি কথা বলতে আমরা দলে খুব কমই সিনিয়র জুনিয়র দেখি। সবাই মনে করি যে একটা পরিবার। বন্ধুর মতো আচরণ। রিয়াদ ভাই সবার সাথে ভালো মিশে, উনি কিন্তু আমাদের থেকে সবচেয়ে বড়। তো উনি এমনভাবে মিশে মনেই হয় না যে উনি আমাদের সাথে অত ভিন্ন বয়সের। উনি পুরো দলকে চাঙ্গা করে রাখে। আর মনে হয় যে অনেক ছোট থেকে আমরা একসাথে খেলতেছি।'
বাঁহাতি এই পেসার সিনিয়রদের নিয়ে আরও বলেন, 'খেলার সময় তো বড় ভাইরা অবশ্যই সমর্থন দেন। আমি যখন নিউজিল্যান্ডে খেলতেছিলাম, মুশফিক ভাই আমাকে একটা ভালো কথা বলেছে। ওইটা আমার এখনো কানে সবসময় লাগে। সেটা গোপনই থাক।'
অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে শরিফুলের বয়সের পার্থক্য দুই বছরের। ২৫ বছর বয়সী অধিনায়ককে নিয়ে শরিফুল বলেন, 'খুব ভালো, স্বাধীনতা দেয়। আর খুব বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ। সবাই উনাকে খুব পছন্দ করে। কারণ আমরা যদি বোলাররা কিছু একটা করতে চাই, কিছু একটা যদি বলি, উনি ওইটা খুব গুরুত্বসহকারে দেখে। সব অধিনায়কই দেখে, শান্ত ভাইও দেখে। শান্ত ভাইয়ের সাথে অনেকদিন ধরে খেলতেছি। সেক্ষেত্রে আচরণ বলি, সবকিছুই ভালো।'
বাংলাদেশ দলের পেস বিভাগের অন্যতম সদস্য এখন শরিফুল। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর ধীরে ধীরে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। মোস্তাফিজ ও তাসকিনের সঙ্গে এখন পেস বিভাগের নিয়মিত মুখ তিনি। অথচ একটা সময় মোস্তাফিজ ও তাসকিনের সঙ্গে খেলাই তার স্বপ্নের একটি ছিল, 'বিপিএলে খেলেছি, ডিপিএল, তারপর জাতীয় দলে তাসকিন ভাইয়ের সাথে খেলেছি। মোস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে তো আর খেলা হয়। যখন অনেক ছোট ছিলাম, ভাবতাম কবে উনাদের সাথে খেলবো। তাদের সাথে এখন খেলতেছি, স্বপ্নের মধ্যে এটি একটি পাওয়া।'
Comments