ফিফটি ছাড়া ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ৩৫১ রানের ম্যাচে যে দুই রেকর্ড

ছবি: এএফপি

সবদিন তো আর সব ব্যাটার রান পাবেন না। তাই যেদিন যে ব্যাটার ছন্দে থাকেন, তিনি যেন ইনিংস বড় করতে চোখ রাখেন। অধিনায়কদের মুখে এমন কথা শোনা যায় প্রায়শই। তবে এই কথা খাটেনি ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে।

পুরো ম্যাচে দুই দলের ব্যাটাররা রান আনলেন ৩৫১ (অতিরিক্তসহ মোট ৩৬৬ রান)। কিন্তু একজন ব্যাটারেরও পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলার প্রয়োজন পড়ল না। কোনো ব্যাটারের ফিফটি ছাড়াই একটা ম্যাচে ৩৫০ রানের বেশি হয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন কিছু দেখেনি এর আগে। 

শুধু কী তাই? প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া চলমান বিশ্বকাপের প্রথম দুইশ রানের যে দলীয় স্কোর গড়ে, সেখানে ব্যক্তিগত কোনো পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস ছাড়াই অজিরা ব্যাট থেকে আনে ১৯৪ রান। কোনো ব্যাটার পঞ্চাশের ঘরে পা রাখতে পারেননি, অথচ এত বেশি রান এনে ফেলেছে একটা দল, এমন কিছুও এর আগে দেখেনি কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ।

গতকাল শনিবার বার্বোডোজের কেনসিংটন ওভালে টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমেই রেকর্ডটির দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডই আগে ছিল যে রেকর্ডের মালিক। ভারতের বিপক্ষে ২০০৭ বিশ্বকাপে ডারবানে তা করেছিলেন ইংলিশরা। সেদিন ফিফটি ব্যাতীতই ব্যাট থেকে তারা এনেছিল ১৮৪ রান। 

অজিদের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের চারজনই ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু সর্বোচ্চ ছিল ৩৯, যা আসে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে। ট্রাভিস হেড (৩৪), মিচেল মার্শ (৩৫), মার্কাস স্টয়নিস (৩০) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (২৮) সবাই আটকে গিয়েছিলেন চল্লিশের আগে। 

একই ঘটনা ঘটেছে ২০২ রানের লক্ষ্যে নামা ইংল্যান্ডের ইনিংসেও। ফিল সল্ট আউট হয়ে যান ৩৭ রান করে। ম্যাচের সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলা জস বাটলারও ৪২ রানেই থেমে যান। আর কোনো ইংলিশ ব্যাটারই ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলতে সক্ষম হননি। ছোট ছোট ইনিংসের বদৌলতে বাটলারের দল ব্যাট থেকে আনে ১৫৭ রান (অতিরিক্তসহ ১৬৫ রান)।

দুই দলের ইনিংস মিলে অন্যরকম এক রেকর্ড হয়ে যায় তাই বার্বোডোজে। কী কাকতাল দেখুন! পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে এর আগ ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ রান এসেছিল যে ম্যাচে, সেটিও হয়েছিল এই বার্বাডোজেই।

২০১০ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা মিলে এনেছিলেন ৩০৫ রান। বিশ্বমঞ্চে আর কোনো ম্যাচেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসের সহায়তা ছাড়া ৩০০ রান আসেনি।

Comments

The Daily Star  | English

With acreage and output falling, is there any prospect for wheat in Bangladesh?

Falling wheat acreage raises questions about food security amid climate change

15h ago