পারল না স্কটল্যান্ড, সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী ইংল্যান্ড

স্কটিশদের হারিয়েই সুপার এইটের টিকিট কাটে অস্ট্রেলিয়া। তাদের সঙ্গে টিকিট পেয়ে যায় ইংল্যান্ডও।

টানা দুটি বড় জয়ে রানরেট বাড়িয়ে রেখেছিল ইংল্যান্ড। তাতে জয়ের বিকল্প ছাড়া কোনো উপায় খোলা ছিল না স্কটল্যান্ডের জন্য। ব্যাটারদের কল্যাণে লড়াইয়ের আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি দলটি। স্কটিশদের হারিয়েই সুপার এইটের টিকিট কাটে অস্ট্রেলিয়া। তাদের সঙ্গে টিকিট পেয়ে যায় ইংল্যান্ডও।

রোববার সকালে সেইন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের 'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮০ রান করেন স্কটিশরা। জবাবে ২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে অস্ট্রেলিয়া।

'বি' গ্রুপে চার ম্যাচের চারটি ম্যাচ জিতে সুপার এইটে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। সমান চার ম্যাচে ইংল্যান্ডের সমান ৫ পয়েন্ট ছিল স্কটল্যান্ডেরও। তবে রানরেটে পিছিয়ে পড়ে বাদ পড়ে স্কটিশরা। সুপার এইট নিশ্চিত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই অভিজ্ঞ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ট্রাভিসকে হেডকে কিছুটা সঙ্গ দিয়ে সাফিয়ান শরিফের শিকার হন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। টিকতে পারেননি গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলও। ফলে দলীয় ৬০ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় অজিরা।

তবে চতুর্থ উইকেটে আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেডকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মার্কাস স্টয়নিস। স্কোরবোর্ডে ৮০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তখন মনে হচ্ছিল সহজ জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে হেডকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন শরিফ। এরপর দ্রুত স্টয়নিসকে ফিরিয়ে দেন মার্ক ওয়াট। তাতে কিছুটা লড়াইয়ের খোরাক পায় স্কটিশরা। তবে এরপর ম্যাথিউ ওয়েডকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন টিম ডেভিড।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন হেড। ৪৯ বলে ৫টি চার ও ৪টি  ছক্কায় এ রান করেন তিনি। স্টয়নিস খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। ২৯ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তারা। ১৪ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন ডেভিড।

স্কটল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট পান ওয়াট ও শরিফ।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি স্কটল্যান্ড। দলীয় ৩ রানেই ওপেনার মাইকেল জোন্সকে হারায় তারা। তবে জর্জ মানসিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ব্রান্ডন ম্যাকমুলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতেই বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় তারা।

মানসিকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর দ্রুত ম্যাকমুলেনকেও ফেরান অ্যাডাম জ্যাম্পা। এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে সতীর্থদের নিয়ে ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক রিচি ব্যারিংটন। তাতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই পেয়ে যায় আইসিসির সহযোগী দলটি।

দারুণ সব শটে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ম্যাকমুলেন। ৩৪ বলে ৬টি ছক্কার সঙ্গে ২টি চার মেরেছেন এই ব্যাটার। অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস খেলেন ব্যারিংটন। ৩১ বলে ২টি ছক্কা ও ১টী চারে এই রান করেন তিনি, ২৩ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন মানসি।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৪৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন ম্যাক্সওয়েল।

Comments

The Daily Star  | English

Mob beating at DU: Six students confess involvement

Six students of Dhaka University, who were arrested in connection with killing of 35-year-old Tofazzal Hossain inside their hall on Wednesday, confessed to their involvement in the crime before a magistrate

8h ago