টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

সাকিবের দু:খ, চেষ্টা বোঝাতে পারেনি বাংলাদেশ

Shakib Al Hasan

শনিবার ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ আদতে কত রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছিল। ১৯৭ রান তাড়ায় টাইগারদের করা ব্যাটিং সে প্রশ্নই তুলে দিয়েছিল। ব্যাট হাতে নাজমুল হাসান শান্তর দলে লক্ষ্য তাড়ার যে তাড়না, সেটির অভাব স্পষ্টতই ফুটে উঠেছিল। অন্তত চেষ্টা করছে বাংলাদেশ, সেটিও বোঝাতে পারেনি তারা। সাকিব আল হাসানের দুঃখও সেখানেই।

অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে লক্ষ্য থেকে ৫০ রান দূরে আটকে গিয়েছিলেন সাকিবরা। ম্যাচ-শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার বলেন, 'ব্যাটিং হতাশাজনক। এর বড় একটা কারণ হতে পারে যে রানের অভাব। তো ওই আত্মবিশ্বাস ছিল না যেভাবে এক্সপ্রেস করার দরকার হতো। বিশেষ করে এই মাঠে যে দুইটা ম্যাচ খেললাম। আমি অনুভব করেছি যে ১৭৫-১৮৫ মোটামুটি স্কোর এখানে, মানে লড়াই করার মতো স্কোর। সেটার নিচে হলে আসলে কঠিন। সেই জায়গা থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম।'

'আগের দিন ১৪০ করলাম, আজকে ১৪৬। আগের দিনের পরে আমাদের অন্তত আজকে আরেকটু ভালো অবস্থায় যাওয়া উচিত ছিল। যেহেতু আমরা জানি কী হচ্ছে, কোন টার্গেটে ব্যাটিং করছি। আমার কাছে মনে হয়, আমরা প্রথম থেকেই ওই অবস্থাতেই যাইনি যেখানে আমরা অন্তত চেষ্টা করছি, এই জিনিসটা মানুষদেরকে বোঝাবো। তো এই জায়গাটা দুঃখজনক।'

অধিনায়ক শান্তর মুখেও এসেছে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ব্যাটিং না করার কথা। তিনি বলেন, 'আমাদের অনেক ব্যাটিং অপশন ছিল আজকে। কিন্তু যতটুকু ইন্টেন্ট দেখানোর প্রয়োজন ছিল তা আমরা পারিনি। কারণ যখন ১৯০ রানের বেশি তাড়া করছি, আমাদের কিছু ইন্টেন্ট দেখানো উচিত ছিল। বিশেষ করে, প্রথম ছয় ওভারে।'

ঘরোয়া ক্রিকেটে হাই-স্কোরিং ম্যাচ খেলে অভ্যস্ত নন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। সেরকম ম্যাচে মানসিকতায়ও তাই বাংলাদেশ পিছিয়ে যায় বলে মনে করেন সাকিব, 'আমরা ১৩০-১৪০-১৫০ রানের খেলাটা খুব ভালো জানি। কারণ আমরা এই ধরনের ম্যাচই সবসময় খেলে অভ্যস্ত। যখনই আমরা ১৮০-১৯০ রানের খেলায় যাই, তখন আমাদের চিন্তা ওই পর্যায়ের আসে না।'

সাকিব আরও বলেন, 'বড় মঞ্চে যখন খেলা হয়, আপনাকে ১৮০ রান তাড়া করতেই হবে। আমরা খুব বেশি হাইস্কোরিং ম্যাচে লক্ষ্য তাড়া করিনি। এমনকি বিপিএলে বিদেশিরা যখন করে দেয় তখন হয়। শুধু একটা ম্যাচ আমি দেখেছি এই বছরে, যখন রংপুরের বিপক্ষে কুমিল্লার ম্যাচে লিটন আর হৃদয় খুব ভালো ব্যাটিং করে ১৮০ রান তাড়া করেছিল। ওইটা বাদে আমি খুব বেশি দেখিনি যে দেশি ব্যাটাররা এরকম রানে চেজ করে জেতাতে পারে। এই জায়গাটাতে সবসময় আমাদের দুর্বলতা ছিল, এখনো আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

3h ago