যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে সবার আগে সেমিতে ইংল্যান্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে সমীকরণ কঠিন হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বড় জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। সেই লক্ষ্যে দাপট দেখিয়ে নবাগত দলটিকে উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। একই সঙ্গে সবার আগে সেমি-ফাইনালের টিকিটও কেটেছে দলটি।
রোববার বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮.৫ ওভারে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে ৬২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে ইংলিশরা।
এই জয়ে সুপার এইটের গ্রুপ ২'য়ে তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে আসে ইংল্যান্ড। তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের সেমি-ফাইনাল। এক ম্যাচ খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্টও ৪। এমনকি তাদের হারিয়ে ৪ পয়েন্ট বানানোর সুযোগ আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। তবে যে কোনো ক্ষেত্রেই অন্তত দ্বিতীয় স্থানে ইংল্যান্ড। নিট রান রেটে এগিয়ে আছে দলটি।
বোলারদের সৌজন্যে এদিন লক্ষ্যটা হাতের কাছেই থাকে ইংলিশদের। সেই লক্ষ্য তাড়ায় কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় তুলে নেয় দলটি। অধিনায়ক জস বাটলার ৩৮ বলে খেলেন ৮৩ রানের হার না মানা বিধ্বংসী এক ইনিংস। নিজের ইনিংস সাজান ৬টি চার ও ৭টি ছক্কায়। ২১ বলে ২টি চারের সাহায্যে ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ফিল সল্ট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলেছিল দলটি। কিন্তু এরপর ক্রিস জর্ডানের তোপে স্কোরবোর্ডে আর কোনো রানই যোগ করতে পারেনি দলটি। উল্টো হারিয়ে ফেলে শেষ পাঁচ উইকেটে।
১৯তম ওভারে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি ৪ উইকেট পান জর্ডান। প্রথম বলেই সেট ব্যাটার অ্যান্ডারসনকে ফেরান। আলী খানকে করা দ্বিতীয় বল ডট। এরপর পরের তিন বলে টানা আউট করেন আলী খান, নশতুশ কেনজিগে ও সৌরভ নেত্রভালকরকে। শেষ তিন দিনে বিশকাপে এটি তৃতীয় হ্যাটট্রিক। আজকের দিনেই দুইটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ কুমার। ২৪ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ২৮ বলে ১টী ছক্কায় ২৯ রান করেন কোরি অ্যান্ডারসন। এছাড়া হারমিত সিং করেন ২১ রান। ইংল্যান্ডের পক্ষে ১০ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান জর্ডান। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান স্যাম কারান ও আদিল রশিদ।
Comments