মিরপুরের ধাঁধায় ‘চাপে থাকবে ভারত’, আশায় লিটন

সারা বছর খেলেও মিরপুরের বাইশ গজের আচরণ চিনতে পারেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সেখানে হুট খেলতে এসে বিদেশি ক্রিকেটাররা সমস্যায় পড়তেই পারেন। উপমহাদেশের দল হলেও মিরপুরের উইকেট চ্যালেঞ্জে ফেলবে ভারতকে, এই আশাতেই আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।
বাংলাদেশের তো বটেই সারা বিশ্বেরই সবচেয়ে মন্থর ও উঁচু-নিচু বাউন্সের উইকেট সম্ভবত মিরপুর। বল থেমে আসে, স্পিনাররা গ্রিপ পান। কিছু বল আচমকা নিচু হয়, কিছু বল আবার লাফিয়ে উঠে। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের এই দৃশ্যগুলো অতি চেনা। চেনা হলেও রহস্য ভেদ করে রানের দেখা পাওয়া সহজ হয় না ব্যাটাররদের।
বছরের এই সময়টাতেও খুব দ্রুত এখানে রান করা সহজ না। কদিন আগে হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ফাইনালেও দেখা গেছে এমন ছবি। উত্তরাঞ্চল ২৪৫ রান করেও এখানে ম্যাচ শিরোপা জিতেছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন তিনশো ছাড়ানো পুঁজি নিরাপদ মনে না হলেও মিরপুরে ব্যাপারটা ভিন্ন। আড়াইশ রানের পুঁজিও উইকেটের কারণে হয় চ্যালেঞ্জিং।
শনিবার প্রথম ওয়ানডের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়ে সুবিধা পাওয়ার কথা বললেন লিটন, 'অবশ্যই তারা চাপে থাকতেই পারে কারণ…আমি জানি না মিরপুরের উইকেট কেমন আচরণ করে। যেহেতু আমরা এই উইকেটে খেলে থাকি আমরা জানি, তারা জানে না উইকেট সম্পর্কে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা হিসেবে থাকবে।'
উইকেটের ব্যাপারে প্রশ্ন গিয়েছিল রোহিত শর্মার কাছেও। বিশদ ব্যাখ্যায় ভারতীয় অধিনায়ক জানালেন, বিচার বিশ্লেষণে গোটা ব্যাপারটা তারা ছাড়তে চান পরিস্থিতির উপর 'এই ব্যাপারে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। এটা বোঝার জন্য খুব সহজ জিনিস না। মাঝে মাঝে আপনি ভুল হবেন, মাঝে মাঝে উইকেট নিয়ে ধারণা ঠিক হবে। আমরা উপমহাদেশে অনেক ক্রিকেট খেলি, উইকেট একইধরনের হওয়ার কথা। ঘাস থাকলে বাড়তি বাউন্স থাকবে, মুভমেন্ট থাকবে। শুষ্ক হলে স্পিন ধরবে। এসবই আপনি বিশ্লেষণ করতে পারেন।'
'আমাদের দলে অভিজ্ঞরা আছে। খেলার আগে দেখে বোঝার জন্য লোক আছে। তারপরও ধারণা অনেক সময় ভুল হয়। ধারনা ভুল হলেও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। কন্ডিশন যেটাই হোক আমরা সেভাবে মানিয়ে নিয়েই খেলব।'
Comments