শান্তর রান না পাওয়া প্রসঙ্গে ক্যালিসের উদাহরণ টানলেন ডমিঙ্গো

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে কিছু ইনিংস খেললেও ওয়ানডেতে একদম নিষ্প্রভ নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট। বারবার সুযোগ পেয়েও একদিনের ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি এই বাঁহাতি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দল জিতলেও শান্ত পান 'গোল্ডেন ডাক'। ঠিক আগের ওয়ানডেও প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন তিনি। এই ব্যাটারের নড়বড়ে জায়গার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি জ্যাক ক্যালিসের উদাহরণ টানলেন বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
এখনো পর্যন্ত ১৪টি ওয়ানডে খেলে ১৩.৫০ গড়ে স্রেফ ১৮৯ রান আছে শান্তর। তার স্ট্রাইকরেটও মোটে ৬০.৯৬। সর্বশেষ দুই ম্যাচেই আউট হয়েছেন প্রথম বলে।
দলে ইয়াসির আলি রাব্বি থাকতেও শান্তকে খেলানো প্রথম যুক্তি ডান-নাম সমন্বয়। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন বাংলাদেশের কোচ, 'আমি ডান-বাম সমন্বয় পছন্দ করি। তাকে দেখে মনে সাদা বলে সে ভিত খোঁজে পাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে দুটি ফিফটি করেছে।'
এরপরই ক্যালিসের কথা টেনে শান্তর পক্ষে কথা বলেন ডমিঙ্গো, 'ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ টেস্টে জ্যাক ক্যালিসের গড় ছিল ১২ (আসলে ২৫.৪৭) । পরে সে বিশ্বের সবসময়ের সেরাদের একজন হয়ে উঠে। শান্তর আরও ধারাবাহিক পারফর্ম করতে হবে। কিন্তু সে বেশ কিছু কঠিন উইকেটে খেলেছে। কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে আপনার ধৈর্য ধরতে হবে। ১২টা (আসলে ১৪) ওয়ানডে খুব বেশি খেলা না। সে খুব ভালো দলের সঙ্গে কঠিন উইকেটে খেলেছে।'
ডমিঙ্গোর দেওয়া তথ্যে অবশ্য আছে কিছুটা ভুল। প্রথম ১২ টেস্টের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ক্যালিস পেয়েছিলেন সেঞ্চুরিও। প্রথম ১৬টি ওয়ানডেতে তার ছিল তিন ফিফটি। ক্যালিসের উদাহরণটা ঠিক খাপ খায়নি।
৬ ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে ৬৭ রান করেছেন ইয়াসির। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৪ বলে তার আছে একটি ফিফটি। তবু ইয়াসিরের বদলে শান্তকে খেলানোর যুক্তি তুলে ধরলেন ডমিঙ্গো, 'রাব্বি দক্ষিণ আফ্রিকার পর আর ওয়ানডে খেলেনি। সে চোটেও পড়েছি। মিরপুরের নতুন বল সামলানোটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি সাকিবকে (শান্ত না খেললে সাকিবকে তিনে নামতে হবে) নতুন বলে প্রথম দিকে তিন-চার ওভার দূরে রাখতে চাই। বল পুরনো হলে সাকিব অবিশ্বাস্য খেলোয়াড়।'
Comments