রোহিত ব্যাট করতে নামতে পারেন, সেই প্রস্তুতি ছিল বাংলাদেশের

ফিল্ডিংয়ে পাওয়া আঙুলের চোটে শুরুতেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তাকে যেতে হয়েছিল হাসপাতালেও। ব্যাট করতে পারবে না কিনা তা নিয়ে ছিল সংশয়। দলের প্রয়োজনে পরে তিনি নামেন নয় নম্বরে। নেমে ম্যাচ প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিলেন দলকে। তার ঝড়ে শেষ দিকে তৈরি হয় নাটকীয়তা। ম্যাচ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, রোহিত যে নামতে পারেন তার জন্য প্রস্তুতি ছিল তাদের।
আগে ব্যাট করে ২৭১ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ। রান তাড়ায় রোহিতকে ছাড়াই খেলতে নেমে বিপদে পড়ে ভারত। ৩৯ রানে বিরাট কোহলিসহ হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। সহ -অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন ব্যর্থ।
শ্রেয়াস আইয়ার ও আকসার প্যাটেলের শতরানের জুটিতে ম্যাচে ফিরেছিল তারা। এই দুজন ফিরে যাওয়ার পর আবার নামে ধস। ২০৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ম্যাচের লাগাম চলে আসে বাংলাদেশের হাতে। তখন আঙুলে ব্যান্ডেজ ও গ্লাভস কেটে নয় নম্বরে ব্যাট করতে ক্রিজে আসেন রোহিত।
এরপর তার ব্যাটে বদলাতে থাকে ছবি। একের পর এক ছক্কায় ভয় ধরিয়ে দিতে থাকেন ভারত অধিনায়ক। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৪০ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের করা ৪৮তম ওভারে কোন রান নিতে পারেননি মোহাম্মদ সিরাজ।
২ ওভারে ৪০ রানের কঠিন সমীকরণও প্রায় মিলে যাচ্ছিল। মাহমুদউল্লাহর ৪৯তম ওভার থেকে আসে ২০ রান। মোস্তাফিজের শেষ ওভারে ২০ রানের চাহিদায় রোহিত মারতে পারেন এক ছয় আর ২ চার। ভারত হারে ৫ রানে।
ম্যাচ শেষে মিরাজ জানালেন, রোহিত যে চোটের পরও নামতে পারেন এই ভাবনা রেখেই প্রস্তুত হয়েছিলেন তারা, 'অবশ্যই আমাদের মানসিকভাবে সে প্রস্তুতি ছিল যে রোহিত শর্মা ব্যাট করতে পারে। যদি সে ব্যাট করতে আসে আমাদের বোলারদের ওই পরিকল্পনা ছিল যে কীভাবে বল করবো। কিন্তু দিনশেষে আপনাকে ১০ উইকেটই নিতে হবে। তারপরও সে খুব ভালো ব্যাট করেছে। সে যেভাবে খেলেছে তা ওদের জন্য ইতিবাচক দিক। আমার কাছে যেটা মনে হয় আমাদের বোলাররা খুব ভাল বল করেছে।'
'মোস্তাফিজ আউটস্ট্যান্ডিং বোলিং করেছে, ইবাদত ভালো বোলিং করেছে, সাকিব ভাই, নাসুমও। আমার কাছ থেকে যেটা আশা করেছিল সেটা আমি দিতে পারিনি (বোলিংয়ে)। আমার একটু ক্র্যাম্প করছিল, আমার অনেক বেশি টান লাগছিল তাই বোলিং টেনে নিতে পারিনি। কিন্তু (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাই আমাকে খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে, ৩-৪ ওভার ভালো বোলিং করে দিয়েছে মাঝখানে।'
Comments