আঙুলে সেলাই নিয়ে নামা রোহিতের ঝড়ে দ্রাবিড়ের মুগ্ধতা ও আক্ষেপ

ম্যাচের একদম দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আঙুলের চোটে বেরিয়ে গেলেন রোহিত শর্মা। যখন আবার ফের মাঠে ফিরলেন তখন ম্যাচের শেষ দিক, ম্যাচও হেলে বাংলাদেশের দিকে। ওই অবস্থায় আঙুলে সেলাই আর ব্যান্ডেজ পরে নেমে তিনি বইয়ে দেন চার-ছয়ের ঝড়। শেষ পর্যন্ত মাত্র এক শটের জন্য দলকে জেতাতে পারেননি। সিরিজ হারার পর রোহিতের এমন বীরত্বে মুগ্ধ কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেও হয় নাটকীয়। এক পর্যায়ে ভালোভাবে জেতার অবস্থায় থাকা বাংলাদেশের জয় প্রায় ছিনিয়েই নিচ্ছিলেন রোহিত। নয় নম্বরে নেমে তিনি খেলেন ২৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে স্লিপে এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ ফসকে আঙুলের চোটে হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। হাতে সেলাই আর ব্যান্ডেজ নিয়ে ফেরেন মাঠে। দিতে হয় ব্যথানাশক ইনজেকশন।
২৭২ রান তাড়ায় শুরুতে পথ হারালেও শ্রেয়াস আইয়ার-আকসার প্যাটেলের শতরানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে ভারত। কিন্তু অসময়ে আউট হয়ে যান দুজনেই। ম্যাচে প্রবলভাবে ফেরা বাংলাদেশ ২০৭ রানে তুলে নেয় ৭ উইকেট। তখনই মাঠে প্রবেশ রোহিতের।
তিনি নামার পর খানিক পর ফিরে যান দীপক চাহার। মোহাম্মদ সিরাজকে এক পাশে রেখে শুরু হয় তার লড়াই। তখনও ৪৫ বলে লাগত ৬৫। ইবাদত হোসেনের এক ওভারে দুই ছয় আর এক চারে সমীকরণ সহজ করেন।
তবে ৪৮তম ওভারে সিরাজ মোস্তাফিজুর রহমানকে মেডেন দিলে ম্যাচ হেলে যায় স্বাগতিকদের দিকে। ২ ওভারে ৪০ রানের সমীকরণ ছয়ের ঝড়ে মিলিয়েই দিচ্ছিলেন রোহিত। মাহমুদউল্লাহর ওভার থেকে ২০ রান নেওয়ার পর শেষ ওভারে মোস্তাফিজকে ২ চার আর এক ছয় মেরে জেতার পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। শেষ বলে ছক্কা মারার হিসাব আর মেলেনি। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে ৫ রানে। সিরিজও জিতে নেয় এক ম্যাচ আগেই।
ম্যাচ শেষে দ্রাবিড় বললেন তাদের খারাপ দিনেও উজ্জ্বল আলো হয়ে থাকল অধিনায়কের সাহসিকতা, 'এমন সাহসিকতা দেখানো ছিল অসাধারণ। তার আঙুল বেশ বাজে রকমভাবে নড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে গিয়ে সেটা ঠিক করতে হয়েছে, হাতে সেলাই লেগেছে। কয়েকটা ইনজেকশন পুশ করে পরে ব্যাট করতে গিয়েছে।'
'রোহিতকে কৃতিত্ব দিতে হবে, সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। সে চাইছিল কি হতে পারে। সুযোগটা নিতে চাচ্ছিল। সে যেভাবে কাছাকাছি নিয়ে গেল তা দুর্দান্ত। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে সাহস দেখিয়েছে, সম্ভাবনা তৈরি করেছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা জিততে পারিনি।'
Comments