'অধিনায়ক লিটনের' ভক্ত হয়ে গেছেন সুজন

ফাইল ছবি

ভারত সিরিজের ঠিক আগে নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের চোট বাড়িয়ে দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টের দুশ্চিন্তা। অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পাওয়া লিটন দাস কতোটা সামলাতে পারবেন নেতৃত্বের ভার ছিল সেই প্রশ্নও। তবে সেই পরীক্ষায় ভালোভাবেই উতরে গেছেন এই ওপেনার। তার নেতৃত্বে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ পকেটে পুরেছে বাংলাদেশ। 'অন্তর্মুখী ধরণের' লিটন কেমন অধিনায়ক হবেন তা নিয়ে অতীতে সন্দিহান থাকলেও খালেদ মাহমুদ সুজন এবার রীতিমতো মুগ্ধ এই উইকেটরক্ষকের দল পরিচালনায়।

বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শক্তিশালী ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচেও আরেকটি টানটান উত্তেজনার লড়াইয়ে সফরকারীদের এক উইকেটে হারায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। দুই ম্যাচেই প্রশংসা কুড়িয়েছে 'শান্তশিষ্ট স্বভাবের' বলে পরিচিত লিটনের নেতৃত্ব। এর আগে গত জুনে বিসিবি যখন নতুন টেস্ট অধিনায়ক খুঁজছিল তখন লিটনকে 'অন্তর্মুখী ধরনের' আখ্যা দিয়ে তৎকালীন টিম ডিরেক্টর সুজন বলেছিলেন, অধিনায়ক হিসেবে সবসময়ই বহির্মুখী কাউকে পছন্দ করেন তিনি।

তবে ভারতের বিপক্ষে লিটনের অধিনায়কত্ব দেখে সুর পাল্টাতে বাধ্য হলেন সাবেক এই ক্রিকেটার, 'আই অ্যাম ভেরি মাচ ফন্ড অব লিটন দাস। আমি মনে করি, সে খুবই সেন্সিবল একজন ক্রিকেটার। নলেজেবল একজন ছেলে। সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। যেভাবে সে অধিনায়কত্ব করেছে, সাহসের পরিচয় দিয়েছে এবং আগ্রাসী অধিনায়কত্ব করেছে, তা দারুণ। আমি সবসময় আগ্রাসী অধিনায়কদের পছন্দ করি, যারা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এভাবে অধিনায়কত্ব করে। আমি একশতে একশ বলব লিটনের নেতৃত্ব।'

আইসিসি ওডিআই র‍্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থ দল ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের অনুভূতি নিয়ে সুজন বলেন, 'এক কথায় দারুণ। এই সংস্করণে যে আমরা শক্তিশালী বা জিততে জানি, কিংবা ভারতের বিপক্ষে আগের সিরিজটাও ঘরের মাঠে আমরা জিতেছিলাম ২০১৫ সালে। ওই সুখস্মৃতি তো ছিলই। তবে দুটি ম্যাচেই আমরা যেভাবে জিতলাম, এতে আমাদের 'ক্যারেকটার' ফুটে ওঠে। মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ, কালকে মোস্তাফিজ ছিল অসাধারণ। প্রথম ম্যাচে শেষ জুটিতে পঞ্চাশের বেশি করে জয়… কালকে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমরা কেউ আশা করিনি বা বাংলাদেশের কেউ হয়তো আশা করেনি যে এত রান করতে পারব।'

ব্যক্তিগত কারণে ভারত সিরিজে দলের সঙ্গে ছিলেন না সুজন। এমন অর্জনের মুহূর্তে ড্রেসিংরুমে থাকতে না পারলেও মাঠের বাইরে থেকে উদযাপন করেছেন তিনি, 'আমি তো দলেরই একজন। দলের ভেতরে থাকি বা বাইরে থাকি, এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা বোর্ডে আছি। দলের সঙ্গে থাকা মানে অবশ্যই নিবিড়ভাবে থাকা। তবে আমরা সবসময়ই আছি। কোনো না কোনোভাবে যোগাযোগ বা কথা হচ্ছে। জয়ের সময় মাঠে থাকতে পারাটা তো সবসময়ই আনন্দের। তবে এটা উদযাপন করা যায় সবভাবেই। মাঠের ভেতর থেকে উদযাপন করা যায়, বাইরে থেকেও করা যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

The elephant in the room no one is talking about

Reform of political parties is of urgent need

10h ago