শ্রেয়াসের উইকেটের পর সেশন জুড়ে হতাশা

সবচেয়ে ভয়ের কারণ ছিলেন যিনি সেই শ্রেয়াস আইয়ারকে দিনের শুরুতেই ফেরাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এরপরই শুরু ভোগান্তি। সেশনের বাকি সময়ে রবীচন্দ্রন অশ্বিন আর কুলদীপ যাদব মিলে হতাশায় পুড়ালেন সাকিব আল হাসানদের।
প্রথম দিনের খেলা শেষে চেতশ্বর পূজারা বলে গিয়েছিলেন, এই উইকেটে সাড়ে তিনশো রানই হবে ভালো পুঁজি। শ্রেয়াস ফিরে গেলেও তিন উইকেট হাতে নিয়ে ভারত চলে গেল সেই ঠিকানায়। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৪৮ রান।
৮১ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত আছেন অশ্বিন। ৭৬ বলে ২১ রান করে তার সঙ্গী কুলদীপ। ৮ম উইকেটে ২২ ওভার ব্যাট করে এই দুজন জুটিতে তুলে ফেলেছেন ৫০ রান। প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ৩০ ওভার। তাতে বাংলাদেশে ফেলেছে একটাই উইকেট, ভারত তুলেছে ৭০ রান। নিশ্চিতভাবেই স্বস্তিতে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় দিনে নেমে যার উপর সবচেয়ে বেশি ভরসা ছিল সেই শ্রেয়াস শুরুতে এদিনও জীবন পেয়েছিলেন। কাজে লাগাতে পারেননি। ইবাদত হোসেনের বলে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন। ৮৫ রানে থাকা শ্রেয়াসের ক্যাচ এবার রাখতে পারেননি লিটন দাস। আগের দিন কিপার নুরুল হাসান সোহান ৩০ রানে জীবন দিয়েছিলেন শ্রেয়াসকে। ৬৭ রান তার ক্যাচ ছাড়েন ইবাদত। পরে নিজে বল করতে এসে শ্রেয়াসকে পরাস্ত করে স্টাম্পে লাগিয়েছিলেন। কিন্তু বেলস না পড়ায় বিস্ময়করভাবে বেঁচে যান ৭৭ রানে থাকা ভারতীয় ব্যাটার।
চার দফা জীবন পেয়েও কাজে লাগেনি। ৮৬ রানে ইবাদতের হালকা ভেতরে ঢোকা বলে আয়েশি ঢঙে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এরপরই কুলদীপকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন অশ্বিন। উইকেটের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে দুজনেই থাকেন অতি সতর্ক। অশ্বিনকে সহযোগিতার মেজাজে নামা কুলদীপ ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকার দিকেই মন দেন।
কিছু আলগা বলে রানের খোঁজ করতে থাকেন তারা। খুব বেশি ধন্দেও ফেলা যাচ্ছিল না তাদের। বল পুরনো হতেই ব্যাট করার জন্যও পরিস্থিতি হয়ে পড়ে আদর্শ। অশ্বিন বরাবরই ভরসা করার মতো ব্যাটার, কুলদীপ দেখিয়েছেন তার উপরও ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রাখতে পারে। পুরোটা সময় খেলেছেন নিখাদ। থিতু হয়ে বাংলাদেশের চিন্তা বাড়াচ্ছেন তারা।
Comments