চারশো পেরিয়ে থামল ভারত

প্রথম দিন শেষে চেতশ্বর পূজারা জানিয়েছিলেন এই উইকেটে সাড়ে তিনশো রানই হবে ভালো পুঁজি। দ্বিতীয় দিনে আরও দেড় সেশনের বেশি ব্যাট করে তারা ছাড়িয়ে গেল চারশো রান। ৮ম উইকেটে রবীচন্দ্রন অশ্বীন ও কুলদীপ যাদবের প্রতিরোধ ভেঙে অবশেষে ভারতকে অলআউট করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৩০ ওভারে ৭০ রানে পড়েছিল কেবল ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে খেলায় ফিরে বাকি তিন উইকেট তুলল বাংলাদেশ। ১৩৩.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ৪০৪ রান করেছে ভারত। ১৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজ ১১২ রানে পান ৪ উইকেট।
এদিন ভারতের রানের চাকা সচল রাখেন অশ্বিন আর কুলদীপ। ৮ম উইকেট জুটিতে ২০০ বলে তারা যোগ করেন ৯২ রান। ১১৩ বলে ৫৮ করেন অশ্বিন, ১১৪ বলে ৪০ রান করে যান কুলদীপ।
৭ উইকেটে ৩৪৮ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেও হতাশা বাড়াচ্ছিলেন অশ্বিন-কুলদীপ। এই দুজনের জুটি বাড়ছিল, বাংলাদেশের কপালে ভাঁজও বাড়ছিল।
তবে দ্বিতীয় সেশনে স্পিনারদের বলে মিলছিল বড় টার্ন, বলও মাঝেমাঝে হচ্ছিল নিচু। এসব সামলে নিয়েও তারা এগিয়ে যেতে থাকলে অস্বস্তি বাড়ে দলের।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘন্টার পর অশ্বিনের ধৈর্যচ্যুতি ঘটান মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিফটি করা মিরাজের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিচু হওয়া বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি। অশ্বিনের বিদায়ের পরই হুড়মুড় করে ধসে যায় বাকি ইনিংস।
কুলদীপকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান তাইজুল। উমেশ যাদব নেমে দ্রুত কিছু রান আনলেও মোহাম্মদ সিরাজকে তুলে নিয়ে ইনিংস মুড়ে দেন মিরাজ।
এর আগে সকালের সেশনে শুরুতেই শ্রেয়াস আইয়ারকে তুলে নেন ইবাদত হোসেন। আগের দিন তিন দফা জীবন পেয়েছিলেন। এদিনও ৮৫ রানে তার ক্যাচ ফেলে দেন লিটন দাস। কিন্তু চার জীবনও কাজে লাগেনি। ইবাদতের হালকা ভেতরে ঢোকা বলে ৮৬ রান করে বোল্ড হন শ্রেয়াস।
তার বিদায়ের পর ভারতের টেল এন্ডারদের পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ঠিকমতো জারি রাখা যায়নি চাপ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এদিন আর বল করতে আসেননি। তাইজুল ও মিরাজ চালিয়ে গেছেন টানা, নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়েও চেষ্টা চালানো হয়েছে।
কিন্তু কুলদীপ-অশ্বিন তাড়াহুড়ো না করে হাঁটতে থাকেন সতর্ক পথে। থিতু হতে সময় নিয়ে তারা চাপা বসেন বোলারদের উপর। প্রথম সেশনের পুরোটা সময় জুড়ে বাংলাদেশকে হতাশ করেছেন এই দুজন। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘন্টাও পার করে দিয়েছিলেন। অশ্বিনের ধৈর্যচ্যুতির পর আর বেশিক্ষণ টেকেনি ভারত। তবে উইকেটের পরিস্থিতি বলছে রানটা পেরিয়ে লিড নিতে বেশ বেগ পেতে হবে বাংলাদেশের।aa
Comments