গিল-পূজারার সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সামনে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ

Shubman Gill & Cheteshwar Pujara
সেঞ্চুরির পর শুভমান গিল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার পরই এই পরিস্থিতিতে পড়ার প্রেক্ষাপট তৈরি করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটের চেনা ছক মেনে বাংলাদেশের সামনে তেমন অসম্ভব এক চ্যালেঞ্জই শেষ পর্যন্ত হাজির হয়েছে। বিশাল লিড নেওয়ায়র পর দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমান গিল ও চেতশ্বর পূজারার জোড়া সেঞ্চুরিতে পাহাড়ে চড়ে বসেছে ভারত।

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ ঘন্টায় গিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংস ছাড়ার আগে তারা করে ২ উইকেটে ২৫৮ রান। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে থমকে যাওয়া বাংলাদেশকে এই ম্যাচ জিততে হলে তাই করতে হবে ৫১৩ রান, গড়তে হবে বিশ্ব রেকর্ড। ম্যাচ বাঁচাতে টিকে থাকতে হবে দুই দিনেরও বেশি সময়। দুই কাজই প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি।

টেস্টে ৪১৮ রান তাড়া করে জেতার বিশ্ব রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কৃতী করে দেখিয়েছিল তারা। উপমহাদেশের মাঠে চারশো রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডও নেই। ২০২১ সালে চট্টগ্রামের এই মাঠেই ৩৯৫ রান তাড়া করে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এসব পরিসংখ্যান জানান দেয় বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষায় কোন পরিস্থিতি। 

এদিন ভারতকে নিরাপদ জায়গায় নিতে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের নায়ক গিল ও পূজারা। ওপেন করতে নেমে ১৫২ বলে ১১০ করে আউট হন গিল। ১৯তম সেঞ্চুরির দিনে ১৩০ বলে ১১০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিন নম্বরে নামা পূজারা।

শুক্রবার ৮ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে নেমে আর ৪৮ মিনিট টিকতে পারে বাংলাদেশ। ১৫০ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়লেও ভারত নিজেরাই আবার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়।লাঞ্চের আগে তারা ছুটেছে মন্থর গতিতে। প্রথম ১৫ ওভার ব্যাট করে লোকেশ রাহুল ও গিল তুলেন স্রেফ ৩৬ রান।

সতর্ক শুরুর এই মন্থর গতি লাঞ্চের পর ঝেড়ে ফেলে তারা। বাড়তে থাকে রানের গতি। ২৩তম ওভারে ৭০ রানের জুটির পর বিদায় নেন রাহুল। খালেদ আহমেদের বলে পুল করে উড়াতে গিয়ে ফাইন লেগে তাইজুল ইসলামের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন তিনি (৬২ বলে ২৩)।

গিল নিতে থাকেন অথরিটি, বের করতে থাকেন একের পর বাউন্ডারি। কাঁধের চোটে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এদিনও কেবল ফিল্ডিং করেছেন, বল করতে আসেননি একবারও। তার শরীরী ভাষাও দেখাচ্ছিল বেশ দুর্বল। পেসার ইবাদত হোসেন ব্যাট করলেও দ্বিতীয় দিনের প্রথম স্পেলের পর আর বল করেননি। এদিন মাঠেও দেখা যায়নি তাকে।

নিয়মিত দুই বোলারের অনুপস্থিতিতে ইয়াসির আলি রাব্বিকে, নাজমুল হোসেন শান্ত এমনকি লিটন দাসও বল করেছেন দুই ওভার। গা ছেড়ে দেওয়া বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের ইনিংস ঘোষণার অপেক্ষা ছাড়া তেমন কিছু খোঁজে পাচ্ছিল না।

পূজারাও দিনের শেষ সেশনে তুলেন ঝড়। প্রথম ফিফটি স্পর্শ করেন ৮৭ বলে। পরের পঞ্চাশ করতে তার লাগে কেবল ৪৩ বল। তাইজুল ইসলামের বলে পূজারা সেঞ্চুরিতে যাওয়ার পরই দুই ব্যাটারকে ডেকে তুলে নেন লোকেশ রাহুল। দিনের শেষ কয়েক ওভারে এখনো উইকেট টিকিয়ে রাখার পরীক্ষায় বাংলাদেশ দল। 

Comments

The Daily Star  | English

Agent banking drives rural remittance boom

Bangladesh’s agent banking network is continuing to play a transformative role in the country’s financial system, especially through the channelling of remittances through agent outlets.

5h ago