লাঞ্চের পর সাকিবের আত্মহুতি

লাঞ্চ বিরতি শেষে সবে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু উমেশ যাদবের করা প্রথম বলেই মিডঅফের উপর দিয়ে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মিডঅফে দাঁড়ানো চেতশ্বর পুজারার সহজ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। তাতে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।

ওপেনারদের বিদায়ের পর লড়ছেন সাকিব-মুমিনুল

শুরুটা মন্দ হয়নি। ৩৯ রানের ওপেনিং জুটি। তাতে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু এরপরই হঠাৎই ছন্দপতন। চার বলের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে উল্টো চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। এরপর অবশ্য লড়াই করছেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা মুমিনুল হক ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ভারতের বিপক্ষে প্রথম দিনের প্রথম সেশন শেষে ২ উইকেটে ৮২ রান করেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল ২৩ ও সাকিব ১৬ রানে উইকেটে আছেন। 

তবে শুরুটা বরাবরের মতো বিবর্ণই হতে পারতো বাংলাদেশ। নিজের প্রথম বলেই ফ্লিক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান জাকির হাসান। তবে সে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি মোহাম্মদ সিরাজ। দৌড়ে হাতে জমালেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ফসকে যায় বল।

জীবন পেয়ে দেখে শুনে খেলতে থাকেন জাকির। শান্তও শান্ত মেজাজেই খেলতে থাকেন। তাতে ড্রিঙ্কসের আগ পর্যন্ত সাবলীল ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার। মাঝেমধ্যে দুই একটি বিচ্ছিন্ন আবেদন ছাড়া তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু বিরতির পর যেন মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটে। এক ওভার পরই ভাঙে জুটি।

অবশ্য কিছুটা এক্সট্রা বাউন্সে পরাস্ত হন জাকির। উনাদকাটের বলটি লাফিয়ে উঠে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় চতুর্থ স্লিপে। এবার তার ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল হয়নি অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের। ৩৪ বলে ১৫ রান করেন জাকির। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম উইকেট পান উনাদকাট।

পরের ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। ফাঁদে ফেলেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। অবশ্য শট খেলতে গেলে বেঁচে যেতে পারতেন তিনি। কারণ ইমপ্যাক্ট ছিল বাইরে। ফলে রিভিউ নিয়ে বাঁচতে পারেননি এ ওপেনার। ৫৭ বলে ২৪ রান করেন তিনি।

এরপর মুমিনলের সঙ্গে জুটি বাঁধতে আসেন অধিনায়ক সাকিব। গত টেস্টে চার নম্বরে ব্যাট করেছিলেন লিটন দাস। তাকে টপকে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো লড়াই করেন অধিনায়ক। মুমিনুলের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েছেন এরমধ্যেই। দারুণ খেলছেন মুমিনুলও। নয় ইনিংস পর পেয়েছেন দুই অঙ্কের রান।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago