কোহলির আউটের পর কি হয়েছিল মাঠে?

Virat Kohli
মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কিছু একটা শুনে থমকে দাঁড়ান বিরাট কোহলি। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মেহেদী হাসান মিরাজের বলটা সামনের পায়ে খেলতে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। বল তার ব্যাটে লেগে আশ্রয় নেয় ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো মুমিনুল হকের হাতে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের বুনো উল্লাসের মাঝে কোহলি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে কিছু একটা শুনে থমকে দাঁড়ান। পরে এগিয়ে গিয়ে কথা বলেন সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও। 

মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ বিকেল ছিল ঘটনাবহুল। মাত্র ১৪৫ রানের লক্ষ্য পাওয়ায় ভারতই ছিল এগিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের স্পিনাররা দ্রুত বদলে দেন ছবি। ৩৭ রানের মধ্যে পড়ে যায় ভারতের ৪ উইকেট। ম্যাচের এখন যা পরিস্থিতি তাতে ভারতকে প্রথমবার টেস্টে হারিয়ে দেওয়া সম্ভব বাংলাদেশের। চতুর্থ দিনের সকালের সেশনেই হয়ত দেখা যাবে শেষ নাটক।

Virat Kohli

ভারতের চার উইকেটের শেষটা ছিল কোহলির। এদিন তৃতীয় উইকেট পড়ার পর নিজের পরিচিত পজিশনের এক ধাপ নিচে পাঁচে নামেন কোহলি। ক্রিজে আসার পর থেকেই তাকে আড়ষ্ট দেখা যায়। রান করার বদলে একের পর এক ডিফেন্স করতে থাকেন তিনি। তবে এভাবে নিজেকে বাঁচানো যায়নি। মিরাজের বলটা বুঝতে দেরি হয়ে যায়। তার বিদায়ে কেঁপে উঠে ভারত, উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।

Virat Kohli

দূর থেকে দেখা মনে হয়েছেন, কোহলি ক্রিজ ছাড়ার আগে তাকে কিছু একটা বলেছেন বাংলাদেশের কোন ফিল্ডার। কোহলি সেই শব্দ গায়ে নিয়ে থমকে যান, প্রতি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে এগিয়ে যান। পরে সাকিবের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। আম্পায়ার শরিফুদৌল্লাহ ইবনে শহীদ সৈকত এসে কোহলিকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। কোহলিকে তখন কিছু একটা বলতে বলতে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়।

দিনের খেলা শেষে কথা বলতে আসা লিটন দাসকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, মাঠে থাকলেও তিনি দেখেননি কিছু,  'আমি জানি না ঠিক কী হয়েছে।'

ভারতের হয়ে কথা বলতে মোহাম্মদ সিরাজও জানাতে পারলেন না ঘটনার বিস্তারিত,  'সত্যি কথা বলতে আমি তখন আইচ বাথ নিচ্ছিলাম। কি হয়েছে জানি না।'  

এই ঘটনা অবশ্য জানান দেয়, শেষ বিকে হুট করে তৈরি হয়েছে কতটা রোমাঞ্চ ও উত্তেজনা। অথচ এক সময় ম্যাড়ম্যাড়ে সমাপ্তির দিকেই ছুটছিল এই টেস্ট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে পড়ে যায় ৪ উইকেট, দ্বিতীয় সেশনে আরও তিনটি। ভারতকে খুব বড় লক্ষ্য দেওয়ার বাস্তবতায় ছিল না স্বাগতিকরা। ৮ম উইকেটে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে খেলা ঘুরিয়ে দেন লিটন। ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে লিড যায় দেড়শোর কাছে। মহা-গুরুত্বপূর্ণ সময়ে টাইগার ব্যাটার খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। ১৪৪ রানের পুঁজি নিয়েই এখন ম্যাচ জেতার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English
rickshaws banned on Dhaka's main roads

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

1h ago