২০২২ সালের রেকর্ড ২০২৩ সালেও ধরে রাখতে চান লিটন
ব্যাট হাতে চলতি বছর স্বপ্নের মতো কেটেছে লিটন দাসের। বাংলাদেশের ব্যাটারদের ইতিহাসে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড আগেই ভেঙেছিলেন। সেটা ছাড়িয়ে যেতে পারত দুই হাজারও। অল্পের জন্য তা হয়নি। তবে সারা বিশ্বের মধ্যে বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করার তৃপ্তি নিশ্চিতভাবেই আছে লিটনের। এবার এমন অর্জন ধরা রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন তিনি।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলেন ২০২২ সালের শেষ ইনিংস। তাতে দলের প্রয়োজনে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ৭৩ রান আসে তার ব্যাটে। এতে করে তিন সংস্করণ মিলিয়ে চলতি বছর তার রান হয় ১ হাজার ৯২১। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লিটনের উপরে আছেন কেবল পাকিস্তানের বাবর আজম। পাকিস্তান অধিনায়ক চলতি বছর করেছেন ২ হাজার ৪২৩ রান।
সারা বিশ্বে দুইয়ে থাকলে বাংলাদেশের সব সময়ের রেকর্ড বেশ আগেই ভেঙেছেন। ২০১৮ সালে মুশফিকুর রহিম এক বছরে করেছিলেন ১৬৫৭ রান। লিটন তার চেয়ে প্রায় তিনশো রান বেশি করলেন।
চলতি বছর ১৩ ফিফটির সঙ্গে লিটন করেন ৩ সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে ১৬টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেও রেকর্ড গড়েন তিনি। এখানে ছাড়িয়ে যান তামিম ইকবালকে।
দারুণ বছর শেষে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটারের চাওয়া ২০২৩ সালটাও নিজের করে নেওয়ার, 'কোনো জায়গা নিলে ওটা ধরে রাখা খুব চ্যালেঞ্জিং। আমার জন্য ভালো, ভগবান আমাকে এই সুযোগটা দিয়েছে। ২০২২ আমি আমার করতে পেরেছি, কৃতজ্ঞ। চেষ্টা করব সেরাটা দিয়ে যেন ২০২৩ সালের শুরু ও শেষ যেন করতে পারি।'
লিটন এখন যে জায়গায় পৌঁছেছেন তাতে করে তার কাছে এখন দলেরও কর্তৃত্ব এসেছে। ভারতের বিপক্ষে তামিমের অনুপস্থিতিতে দিয়েছেন নেতৃত্ব, ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের ট্রফি উঠেছে তার হাতে। টেস্টে সাকিব আল হাসানের ডেপুটি তিনি। রান করছেন নিয়মিত। অথচ এক সময় মানুষের ট্রলের শিকার হয়ে নাজেহাল হতে হয়েছে তাকে। সাফল্যের সেরা সময়ে তেতো অতীতকে স্রেফ স্বাভাবিক বাস্তবতা মানছেন তিনি, 'সমালোচনা হবেই। নামের পেছনে ট্যাগ থাকলে মানুষ বাহবাও দিবে খারাপও বলবে। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত না। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব জায়গা ধরে রাখার জন্য, তবে এটা অনেক কঠিন। প্রতি বছরই আপনি ঐ পর্যায়ে যেতে পারবেন না। আমি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব সফল হওয়ার।'
Comments