আমরা সব দিক থেকে চেষ্টা করেছি: সাকিব

ভারতের ৭ উইকেট ফেলেও ম্যাচ জিততে না পারার কষ্ট চেপে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কৃতিত্ব দিলেন প্রতিপক্ষের দুই ব্যাটার রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ারকে।
Shakib Al Hasan
সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এত কাছে তবু কত দূরে! বাংলাদেশের শেষটায় মিশে থাকল আবারও সেই আক্ষেপের গল্প। যে সকালটা হতে পারত বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য আলোয় রাঙা, সেটাই পরে পরিণত হলো বেদনায় নীল। ভারতের ৭ উইকেট ফেলেও ম্যাচ জিততে না পারার কষ্ট চেপে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কৃতিত্ব দিলেন প্রতিপক্ষের দুই ব্যাটার রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ারকে।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের কাছে ৩ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। ১৪৫ রান তাড়ায় ৩৭ রানে আগের দিন বিকেলে পড়েছিল ভারতের ৪ উইকেট। রোববার সকালে নেমে দ্রুত আরও তিন উইকেট তুলে নেয়া গিয়েছিল। ভারতের স্কোর যখন ৭ উইকেটে ৭৪ তখন ম্যাচ পুরোটাই হেলে বাংলাদেশের দিকে।

ওই অবস্থায় দারুণ জুটি গড়েন অশ্বিন ও শ্রেয়াস। ৮ম উইকেটে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ বের করে নেন তারা।

টেস্টে ভারতের মতো দলকে হারানোর বড় সুযোগ হাতছাড়ার হওয়ার পর বিমর্ষ সাকিব জানান তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না,  'আমার মনে হয় ওই সময় অশ্বিন ও আইয়ার খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট একদমই সহজ ছিল না। তারপর তারা দুইজন যেভাবে ব্যাটিং করেছে, ওদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। আমরা সব দিক থেকে চেষ্টা করছি, কিন্তু যেকোনোভাবে একটু ঘাটতি ছিল।'

ম্যাচটা যেভাবে দাঁড়িয়েছে তাতে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে একটু আক্ষেপ থাকতে পারত বাংলাদেশের। মিরপুরের স্পিনিং উইকেটে শুরুতে ব্যাট করার জন্য সুযোগ পেয়ে সেটা পুরোপুরি কাজে লাগেনি। প্রথম ইনিংসে একটা পর্যায়ে তিনশো রান মনে হচ্ছিল খুবই সম্ভব। সেখানে বাংলাদেশ করতে পারে ২২৭। ভারত পরে ৩১৪ রান করে নিয়ে নেয় ৮৭ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩১ রান করলেও প্রথম ইনিংসের ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়া যায়নি।

তবে ব্যাটিংয়ের ঘাটতি সাকিবের কোন আক্ষেপ নেই, বরং লড়াই করতে পারার তৃপ্তি তার, 'আক্ষেপ নেই কোনো। আমার মনে হয় আমরা পুরো টেস্টে লড়াই করে গেছি। এই মানসিকতা থাকলে আমার মনে সামনে ফল আমাদের পক্ষে আসবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Why planting as many trees as possible may not be the solution to the climate crisis

The heatwave currently searing Bangladesh has led to renewed focus on reforestation efforts. On social media, calls to take up tree-planting drives, and even take on the challenge of creating a world record for planting trees are being peddled

1h ago