অন্যরা এসব মিস করে না, আমরা যেগুলো করি: সাকিব

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দুই ইনিংসেই উইকেট নেওয়ার বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। কখনও ক্যাচ মিস তো কখনও স্টাম্পিং। এসব ব্যর্থতার মাশুলও দিতে হলো চড়া। নাগালে পেয়েও ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জয় থেকে গেল অধরা। ম্যাচের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে স্বাভাবিকভাবেই শোনা গেল হতাশার সুর।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে চতুর্থ দিনের শুরুতেও মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনে নাজেহাল হয়েছিল সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চলে গিয়েছিল খাদের কিনারে। তবে অষ্টম উইকেটে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জেতান রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ার। এতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে ভারত।

মিরাজ ও সাকিবের ঘূর্ণি বোলিংয়ে ম্যাচে তৈরি হয় রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি। কিন্তু শেষটা প্রত্যাশামাফিক হয়নি। গোটা টেস্টেই অনেকগুলো সুযোগ হাতছাড়া করেছে স্বাগতিকরা। সবচেয়ে বড় আফসোস থেকে যেতে পারে শেষটি নিয়ে। অশ্বিনকে ব্যক্তিগত ১ রানে সাজঘরে পাঠানো যেত। তখন পড়ে যেত ভারতের অষ্টম উইকেট। কিন্তু মিরাজের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ ধরতে পারেনি মুমিনুল হক। পরে অশ্বিনই মিরাজের এক ওভারে ১৬ রান নিয়ে খেলা শেষ করে দেন। ৬২ বলে ৪ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়াস। 

একাধিক সুবর্ণ সুযোগ হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়ায় মেলেনি কাঙ্ক্ষিত ফল। সংবাদ সম্মেলন সাকিব বলেন, এগুলো ক্রিকেটের অংশ হলেও বাংলাদেশকে নিয়ে হতাশ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে, 'একটু তো হতাশাজনক। কারণ এগুলোই হয়তো অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওদের হয়তো প্রথম ইনিংসে রান ৩১৪ না হয়ে ২৫০ হতে পারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও অবশ্যই সুযোগ ছিল। এসব ক্রিকেটের অংশ। তবে হতাশানজক যে অন্য দলগুলো এসব মিস করে না, আমরা যেগুলো করি।'

উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে বিপাকে পড়েছিল ভারত। কিন্তু রিশভ পান্ত ও শ্রেয়াসের ১৫৯ রানের আক্রমণাত্মক জুটিই সব বদলে দেয়। অথচ দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ভাঙতে পারত এই জুটি! দুই ব্যাটারকেই দুবার করে জীবন দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এতে দায় আছে নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিমদের।

Comments

The Daily Star  | English

Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

2h ago