জাকিরের মতো ব্যাটারই খুঁজছিলেন সাকিব

Zakir Hasan
সেঞ্চুরির পর জাকির হাসানের উদযাপন। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চলতি বছরের জাতীয় লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনিই। ভারত 'এ' দলের বিপক্ষে প্রথম আনঅফিসিয়াল টেস্টেও দেখিয়েছিলেন ব্যাটিং ঝলক। ফলে জাকির হাসানের সুযোগ মেলে ভারতের মূল দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও। সেখানেও বাজিমাত করেন এই তরুণ ব্যাটার, চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেকেই সেঞ্চুরির পর ঢাকা টেস্টে হাঁকান ফিফটি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও মুগ্ধ জাকিরের ব্যাটিংয়ে, জানালেন এমন কাউকেই খুঁজছিলেন তারা।

চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ছিলেন জাকির। মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও ২৪ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঠিকই তুলে নেন সেঞ্চুরি। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ক্রীজে থেকে ২২৪ বলে ১০০ রান করেন তিনি। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও রানে ফেরেন জাকির। টপ অর্ডারের বাকিরা পুরোপুরি ব্যর্থ হলেও ৫১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

জাকিরের ব্যাটিং দেখে তাকে বেশ পরিণত মনে হয়েছে অভিজ্ঞ সাকিবের। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার দলপতি বলেন, 'ওকে (জাকির) খুব পরিণত মনে হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, খুব ভালো টেম্পারমেন্ট আছে, টেস্ট ম্যাচের জন্য আদর্শ, যে ধরনের ব্যাটসম্যান আমরা খুঁজছিলাম। আমার মনে হয়, ও একটা বড় শূন্যস্থান পূরণ করার মতো সামর্থ্য রাখে। তবে এটা কেবলই শুরু। আশা করি, বাংলাদেশের হয় এমন ভালো ভালো ইনিংস ও খেলবে।'

জাতীয় দলে নতুন হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ পরিচিত মুখ জাকির। ২০১৫ সাল থেকে খেলছেন নিয়মিত। ঝুলিতে আছে ৭১টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। জাকিরের খেলায় অভিজ্ঞতার সেই ছাপ দেখতে পেয়েছেন সাকিব, 'জাকিরের জন্য একটা সুবিধা হচ্ছে, ও কিন্তু নতুন ক্রিকেটার নয়। অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ৭০টি ম্যাচ খেলেছে। খেলার মধ্যে ওই ব্যাপারটি দেখা যায়। যখন ১৯-২০ বছরের একটি ছেলে খেলবে, তার খেলার যে ধরন, জাতীয় দলের আশপাশ দিয়ে ছিল সবসময়, ৬০-৭০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে আসা ক্রিকেটার, তার টেম্পারমেন্ট দেখলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।'

গত কয়েকটি টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে টানা সুযোগ পেয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। শুরুটা জাকিরের মতো আলো ছড়িয়ে হলেও পরবর্তীতে খেই হারান তিনি। ফলে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে তার বদলে ডাক পান জাকির। তবে জয় যে এখনও সিস্টেমের বাইরে চলে যাননি সেটা মনে করিয়ে দেন সাকিব। ফের সুযোগ পেলে যেন ২২ বছরের এই তরুণ ব্যাটার যেন তা কাজে লাগাতে পারেন সেই কামনাও করেন টেস্ট অধিনায়ক।

সাকিব বলেন, 'আমি যেটা চাচ্ছি, এরকম ক্রিকেটাররা যদি আসে, ৫-৬-১০ বছর যে সার্ভিস দেবে বাংলাদেশকে, তাদের ভালো সার্ভিস দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জয় কিন্তু সিস্টেমের বাইরে নয়। অবশ্যই সিস্টেমে আছে। যখন ও "এ" দলে রান পাওয়া শুরু করবে, ওর জন্য সুযোগ আসবে যখন, আমি চাই ও যেন ভালোভাবে নিতে পারে সুযোগটা, যেন ওর ক্যারিয়ারেও এরকম হয় যে ১০-১২-১৫ বছর খেলবে বাংলাদেশ দলে, ১০০ টেস্ট খেলবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

2h ago