আবারও হৃদয়ের তোলপাড় করা ব্যাটিং, সিলেটের টানা চতুর্থ জয়

Towhid Hridoy
ব্যাট উঁচিয়ে ধরেছেন তৌহিদ হৃদয়। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এবার বিপিএলে তৌহিদ হৃদয় যেন অদম্য, তার ব্যাটের ঝলকে সিলেট স্টাইকার্সও যেন দুর্বার। টানা তৃতীয় ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছাড়ানো রান করলেন হৃদয়। আগের দুই ম্যাচের চেয়েও তার ব্যাট এবার হয়েছে আরও চওড়া। এই তরুণের ঝলকে সিলেট টুর্নামেন্টে প্রথমবার ছাড়িয়ে যায় দুশো। যার জবাব দেওয়ার অবস্থা তৈরি করতে পারেনি ঢাকা ডমিনেটর্স। টানা চতুর্থ ম্যাচে নেমে সবগুলোতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল মাশরাফি মর্তুজার দল।

মঙ্গলবার রাতে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকাকে  ৬২  রানে হারিয়েছে তারা।  আগে ব্যাটিং পেয়ে ৮ উইকেটে ২০১ রান করে সিলেট। ৪৬ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন হৃদয়। ফিফটি আসে শান্তর ব্যাটে। জবাবে মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির হোসেন কিছুটা লড়াই করলেও দলকে জেতার রাস্তা দেখাতে পারেননি। ১৩৯ রানে আটকে যায় তারা।

বিপিএলে সবচেয়ে চার ম্যাচে মাঠে নামা সিলেট অপরাজেয় হয়ে থাকল সবার উপরে। প্রথম ম্যাচে জেতা ঢাকা দ্বিতীয় ম্যাচে এসে পেল হারের স্বাদ।

প্রথম ম্যাচে রান তাড়ায় ব্যাট করতে নামার সুযোগ পাননি হৃদয়। পরের দুই ম্যাচে রান তাড়ায় ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আলো কেড়ে নেন তিনি, এবার আগে ব্যাটিং পেয়েও উত্তাল হয়ে উঠে তার ব্যাট। নিজেকে বদলে ফেলা এই ব্যাটার এদিনও চমকে দিয়েছেন সবাইকে।

এক সময় হাতে সীমিত শট ছিল হৃদয়ের, ক্রিজে থিতু হতে লাগত সময়। বদলে যাওয়া এই ডানহাতি নিজের ভাণ্ডারে যোগ করেছেন বিবিধ শটের বাহার। নিখাদ ক্রিকেটীয় শট তো আছেই, আছে ইম্প্রোভাইজেশন। সবচেয়ে বড় কথা ফিটনেস নিয়ে খেটে পাওয়ার বাড়িয়েছেন অনেক। পিকআপ শটে যেভাবে বড় বড় ছক্কা মারছেন তাতে তাকে অন্য ধাপের খেলোয়াড় মনে হচ্ছে।

এদিনও দলের ১৭ রানে মোহাম্মদ হারিস আউট হলে তিনে নামেন হৃদয়। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে গড়ে উঠে তার মোমেন্টাম এনে দেওয়া জুটি। শান্তও শুরুর ঝাপটা সামলে মেলতে থাকেন ডানা। তুলে নেন আসরে নিজের প্রথম ফিফটি।

হৃদয় ক্রিজে গিয়েই দেখান মেরে খেলার অ্যাপ্রোচ। বোলারের উপর চেপে বসেন শুরুতে। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজন যোগ করেন ৫৭ বলে ৮৮ রান।

৩৯ বলে ৫৭ করে আল-আমিনের বলে ফেরেন শান্ত। আগের দুই ম্যাচে ঝলক দেখানো জাকির হাসান এদিন পারেননি।  ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম, থিসারা পেরেরা, ইমাদ ওয়াসিমরা।

২ উইকেটে ১৩২ থেকে ১৬১ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় স্টাইকার্সের। এক পাশে উইকেট পতনের মাঝে দলকে একাই টেনে নেন হৃদয়। একের পর এক ছক্কায় দলকে নিয়ে যান দুশোর দিকে। ৪৬ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় ৮৪ রান করে আল-আমিনের বলে থামেন হৃদয়।

জবাব দিতে নেমে ৩০ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে ঢাকা। এরপর ৪৭ বলে ৭৭ রানের এক জুটি গড়েন নাসির-মিঠুন। এই দুজন থামার পর আর কেউ টানতে পারেননি ঢাকাকে।

দারুণ জয়ের দিনে একটি অস্বস্তির খবরও আছে সিলেটের। তাদের নায়ক তৌহিদ ক্যাচ নিতে গেলে কেটে ফেলেন হাত। সেলাই করাতে তাকে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

Comments

The Daily Star  | English

India curbs import of Bangladeshi jute, woven fabrics, yarn

However, the products will be allowed to be imported only through Nhava Sheva seaport in Maharashtra

1h ago