আফিফ-রাসুলির ব্যাটে ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের প্রথম জয়

উইকেটে সেট হচ্ছিলেন ঠিকই, কিন্তু পারছিলেন না ইনিংস লম্বা করতে। অবশেষে নিজেকে ফিরে পেলেন আফিফ হোসেন। ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। তাকে দারুণ সহায়তা করলেন আফগান ব্যাটার দারুইস রাসুলি। এ দুই ব্যাটারের ইনিংসে ভর করেই ঘরের মাঠে প্রথম জয় পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

উইকেটে সেট হচ্ছিলেন ঠিকই, কিন্তু পারছিলেন না ইনিংস লম্বা করতে। অবশেষে নিজেকে ফিরে পেলেন আফিফ হোসেন। ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। তাকে দারুণ সহায়তা করলেন আফগান ব্যাটার দারুইস রাসুলি। এ দুই ব্যাটারের ইনিংসে ভর করেই ঘরের মাঠে প্রথম জয় পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান করে ঢাকা। জবাবে ১৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিক দলটি।

আগের দিন নিজেদের মাঠে ফরচুন বরিশালের কাছে হেরেছিল চট্টগ্রাম। এদিনের জয়ে চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে উঠে এলো দলটি। অন্যদিকে তিন ম্যাচে এটা দ্বিতীয় হার ঢাকার।

লক্ষ্য তাড়ায় এদিন শুরুতেই ওপেনিংয়ে নামা আল-আমিনকে হারায় চট্টগ্রাম। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তিন নম্বরে নেমে আরেক ওপেনার উসমান খানকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন আফিফ হোসেন। গড়েন ৫৫ রানের জুটি। উসমানকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি। এরপর রাসুলিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আফিফ। গড়েন দুর্দান্ত এক জুটি। অবিচ্ছিন্ন ১০৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আফিফ। ৫২ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ব্যাটার। ৩৩ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় হার না মানান ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন রাসুলি। অথচ প্রথম ২৫ বলে একটি বাউন্ডারিও মারেননি এ আফগানী। পরের আট বলে মেরেছেন সাতটি বাউন্ডারি। 

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে ঢাকা। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও উসমান গনি গড়েন ৬০ রানের জুটি। এরপর অবশ্য ১৯ রানের ব্যবধানে এ দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরে চট্টগ্রাম। দুটি উইকেটই পান নিহাদুজ্জামান। এরপর ১৪ রানের ব্যবধানে সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুনকেও তুলে রানের গতিতে লাগাম দেয় দলটি।

পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক নাসির হোসেনের সঙ্গে কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে ফের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন আরিফুল হক। স্কোরবোর্ডে ৩০ রান যোগ করেন তারা। এরপর মেহেদী হাসান রানা জোড়া ধাক্কা দিলেও স্কোরবোর্ডে দেড়শর বেশি রান তুলতে পারে তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন উসমান। ৩৩ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ওপেনার। এছাড়া ২২ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩০ রান করেন নাসির। আগের দুই ম্যাচ রান না পেলেও এদিন ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল। মিজানুরের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।

চট্টগ্রামের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রানা ও নিহাদুজ্জামান।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

3h ago