টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের ব্যাটিং পজিশন এখন আফিফের

টি-টোয়েন্টিতে আফিফ হোসেনের ব্যাটিং পজিশন আরও উপরে হওয়া উচিত কিনা, এই নিয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে অনেকবারই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। মুশফিকুর রহিম দলে না থাকলে আফিফ খেলেন চার-পাঁচে। মুশফিক থাকলে আবার তাকে নিচে নামতে হয়। মুশফিক থাকলেও এশিয়া কাপে তেমনটা আর হচ্ছে না। মিডল অর্ডারে চার-পাঁচ নম্বর পজিশনেই থিতু করা হবে আফিফকে।

১০০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মুশফিক ৫০ ম্যাচেই ব্যাট করেছেন চার নম্বরে। ২০ ম্যাচে তাকে দেখা গেছে পাঁচে। অর্থাৎ ক্যারিয়ারের ৭০ ম্যাচেই মুশফিককে চার বা পাঁচেই দেখা গেছে। মিডল অর্ডারে এবার সেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিতে চলেছেন তরুণ আফিফ।

মুশফিক না থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচে তাকে পাঁচ ও চারে দেখা গিয়েছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও প্রথম ম্যাচে তিনি নামেন পাঁচে, পরেরটিতে চারে। শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশে আসার পর আফিফকে নামামো হয় ছয়ে। ১৫৭ রান তাড়ায় মাহমুদউল্লাহ পাঁচে নেমে করেন ২৭ বলে ২৭। ছয়ে নামা আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৩৯। বাংলাদেশ ১০ রানে ম্যাচ হারার পর  ব্যাটিং পজিশন নিয়ে সমালোচনাও হয় বিস্তর।

এশিয়া কাপের দলে ফিরেছেন মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ তো আছেনই। তবু এবার আর আফিফকে নিয়ে টানা হেঁচড়া হবে না। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আফিফকে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখেই এগুবেন তারা,  'আমরা সেখানেই (চার) ওকে (আফিফ) করব। আমরা যেটা চাই নির্দিষ্ট ভূমিকাতেই আফিফকে আমরা চিন্তা করছি। হি ইজ আওয়ার ডায়নামো। আত্মবিশ্বাসী একটা ছেলে, গত দুটো ওয়ানডেতেও ভাল খেলেছে। সবচেয়ে বড় কথা সে আগ্রাসী। যেটা আমরা চাই। আফিফকে আমরা ওই পজিশনেই (চার-পাঁচ) খেলাব। সে আমাদের আগামী। খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। অবশ্যই আমাদের দায়িত্ব তাকে সেই সুযোগটা করে দেওয়া।'

বাঁহাতি আফিফ মিডল অর্ডারের দায়িত্বে থাকলে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ভূমিকা কি হবে? এই প্রশ্নের জবাবে খালেদ মাহমুদ জানান, পরিস্থিতি বুঝে তাদের ব্যাটিং পজিশন ঠিক করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Housing, food may top the manifestos

Panels contesting Ducsu election are signalling key reform priorities in their upcoming manifestos

12h ago