‘হয় ১৮০ করতে হবে, নয়তো একশোতে অলআউট হয়ে যেতে হবে’

টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এখন থেকে চান সাহসী ক্রিকেট। তার কথা বড় রান করতেই হবে, বড় পুঁজির চেষ্টায় গিয়ে অল্প রানে গুটিয়ে গেলেও আপত্তি নেই।
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের খেলার ধরন নিয়ে অনেক প্রশ্ন। নেতিবাচক অ্যাপ্রোচ, ডট বলের চাপ সামাল দিতে না পেরে প্রায়ই ভুগতে হয় দলকে। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এখন থেকে চান সাহসী ক্রিকেট। তার কথা বড় রান করতেই হবে, বড় পুঁজির চেষ্টায় গিয়ে অল্প রানে গুটিয়ে গেলেও আপত্তি নেই।

১৪০- ১৫০ রানকেই কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে জুতসই পুঁজি ধরে এসেছে বাংলাদেশ দল। প্রান্ত ধরে খেলা, রয়েসয়ে খেলার সাবেকি ধ্যান ধারনা দেখা যায় নিয়মিত।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে অ্যাপ্রোচ ঠিক থাকলেও পরেররটিতে দেখা যায় ভিন্ন ছবি। প্রথম ম্যাচে দুশো তাড়া করে জেতার কাছে গিয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহানরা, পরেরটিতে রান তাড়ায় এসেছে জয়।  সিরিজ নির্ধারনী শেষ ম্যাচে ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে ১০ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।

মিডল অর্ডারে নেমে মাহমুদউল্লাহ করেন ২৭ বলে ২৭। সোমবার বিসিবিতে গণমাধ্যমকে খালেদ মাহমুদ সমালোচনা করেন এই ধরনের,  'বারবার আমরা একটা কথা বলছি ভয়ডরহীন ক্রিকেট। জিম্বাবুয়েতে প্রথম দুই ম্যাচে সেটা থাকলেও তৃতীয় ম্যাচে মনে করি না প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলেছি। যেটা আমরা চাই সেটা হয়নি।'

'সাকিব আগ্রাসী অধিনায়ক আমি মনে করি, সুতরাং আমরা চাইব ওইরকম ক্রিকেট খেলতে। বলছি না যে হুট করে বদলে গিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাব। আমরা পথটা ধরতে চাই কীভাবে আমরা খেলব।'

'১২০ বলের খেলা। ওয়ানডেতে হয়ত উইকেট পড়লে সময় নিয়ে খেলা যায়। এখানে সেই সুযোগ নেই। গিয়েই আপনাকে মারতে হবে। রানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মারতে হবে। আমি বিশ্বাস করি ছেলেরা এসব মাথায় নিয়ে খেলবে।'

এশিয়া কাপের পর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় আসর। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ। সবগুলোই হবে ভাল উইকেটে, খেলা হবে বড় রানের। এই কারণেই এখন থেকে সবাইকে তেড়েফুঁড়ে খেলার বার্তা দিচ্ছেন খালেদ,  'আপনি যখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন হয় আপনাকে ১৮০ রান করতে হবে, নাহয় একশোতে অলআউট হয়ে যেতে হবে। আমি এই খেলেটার পক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ম্যাচ জিততে চাইলে আপনাকে ১৮০ করেই জিততে হবে, ১২০-১৩০ রান করে ম্যাচ জেতা যাবে না। ১৮০ করতে গিয়ে যদি ১২০ রানে গুটিয়ে যান আমি কিছু মনে করব না।'

দলে যারা এখন ১০০ স্ট্রাইকরেটে রান করছে। তাদের দিয়ে হবে না বলেও পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি। এখানেই উঠে মাহমুদউল্লাহর প্রসঙ্গ। গত ১৪ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার গড় ১৭.৪১, স্ট্রাইকরেট স্রেফ ১০০.৪৮। তবু এই অভিজ্ঞ তারকাকে দলে রাখা হয়েছে উপায় না দেখে,  'আমাদের হাতে কিন্তু এত ক্রিকেটার নেই। চাইলেও হুট করে একটা দল বদলানো যাবে না। অনেক কঠিন। এরপর চোটের একটা শঙ্কা আমাদের আছেই। বেশ কজন ইনজুরিতে আছে। সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।'

এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লাহ কোন পজিশনে খেলবেন তা নিয়েও আছে প্রশ্ন। টিম ডিরেক্টর এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন দায়িত্বে আর তাকে দেখছেন না বলে জানা,  'মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গা তো থাকবেই। এই সংস্করণে অনেক অভিজ্ঞ সে, ১২০টির মতো ম্যাচ খেলেছে। পজিশন আমি নির্দিষ্ট করে দিচ্ছি না। রিয়াদকে হয়তো ওপরে ব্যাট করতে হতে পারে, সাত-আটেও করতে হতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

Trade at centre stage between Dhaka, Doha

Looking to diversify trade and investments in a changed geopolitical atmosphere, Qatar and Bangladesh yesterday signed 10 deals, including agreements on cooperation on ports, and overseas employment and welfare.

4h ago