টি-টোয়েন্টিতে থাকছেন না ডমিঙ্গো

গুঞ্জন চলছিল গত কয়েক দিন ধরে। শেষ পর্যন্ত তা রূপ নিল বাস্তবে। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্বে থাকছেন না প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এখন থেকে এই দক্ষিণ আফ্রিকান টেস্ট ও ওয়ানডে দলকে সামলানোর পাশাপাশি নজর রাখবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত টেকনিক্যাল পরামর্শক তকমায় দলের দেখভাল করবেন শ্রীধরন শ্রীরাম।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের কাছে এসব জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। প্রধান কোচের পদে টিকে থাকলেও ডমিঙ্গোর অধীনে থাকছে না টি-টোয়েন্টি দল। তিনি বাকি দুই সংস্করণ অর্থাৎ টেস্ট ও ওয়ানডের দায়িত্বে থাকবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপেও যাচ্ছেন না তিনি। ফলে এশিয়া কাপে কোনো প্রধান কোচ পাচ্ছে না টাইগাররা।
টেকনিক্যাল পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ভারতীয় শ্রীরাম টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে কোচিং করাবেন। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপেও একই ভূমিকা পালন করবেন তিনি। তার সঙ্গে আপাতত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। আগের দিন রোববার বাংলাদেশে পা রেখে মিরপুরে ক্রিকেটারদের অনুশীলন ম্যাচ দেখেছেন শ্রীরাম।
ডমিঙ্গো ও শ্রীরামের সঙ্গে বৈঠকের পর বোর্ড সভাপতি পাপন বলেছেন, 'ডমিঙ্গো তো টি-টোয়েন্টিতে না, সে তো ওডিআই ও টেস্টে (দায়িত্ব পালন করবে)। আমরা টি-টোয়েন্টিকে আলাদা করেছি।'
টি-টোয়েন্টিতে কোনো প্রধান কোচ না থাকা নিয়ে তিনি যোগ করেছেন, 'প্রধান কোচ বলে এখন পর্যন্ত কেউ নাই। আমাদের ব্যাটিং কোচ রয়েছে। আমাদের স্পিন কোচ, ফাস্ট বোলিং কোচ রয়েছে। আমাদের ফিল্ডিং কোচ, আমাদের অধিনায়ক (আছে)। তবে একজন টেকনিক্যাল পরামর্শক আমরা নিয়েছি টি-টোয়েন্টির জন্য। সে গেম প্ল্যান (খেলার পরিকল্পনা) দিবে। যদি সে গেম প্ল্যানও দেয়, তাহলে প্রধান কোচ করবে কী আর?'
এমন পরিস্থিতিতে কোচিং স্টাফকে নেতৃত্ব কে দিবেন জানতে চাওয়া হলে তিনিসহ বিসিবি কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করেছেন পাপন, 'আমাদের টিম ডিরেক্টর (বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন) আছে, জালাল ভাই (বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস) থাকবে, আমি থাকছি এবার। আর কী!'
ডমিঙ্গো সামনে কী কী কাজ করবেন সেটারও একটা ধারণা দিয়েছেন তিনি, 'শ্রীরামের সঙ্গে একটু বসা হলো, ডমিঙ্গোর সঙ্গেও। আমাদের সামনের পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ হলো। এই মুহূর্তে আমি বলতে পারি, সে (ডমিঙ্গো) আমাদের একটা পরিকল্পনা দিতে যাচ্ছে। এখন তো অনেক ব্যস্ত সূচি। এফটিপিতে খুবই খারাপ অবস্থা। কারও পক্ষে এভাবে (ঘন ঘন) সফর করা সম্ভব না। সে কী করবে তা আমাদের দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে যাবে। উদাহরণস্বরূপ, সে এনসিএল (জাতীয় লিগ) দেখতে চায়, 'এ' দলের খেলা দেখতে চায়, ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় কারা আছে। যারা জাতীয় দলে নাই তাদের নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায় এবং সেজন্য কী কী সহযোগিতা লাগবে, এগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।'
Comments