ফিরে দেখা এশিয়া কাপ: মাশরাফি দেয়া সাহসে সেই নিবেদন দেখিয়েছিলেন তামিম

Tamim Iqbal
২০১৮ সালের এশিয়া কাপে ভাঙা আঙুল নিয়ে নেমে এক হাতে একটি বল ঠেকিয়েছিলেন তামিম ইকবা। ফাইল ছবি

আবারও একটি এশিয়া কাপ সন্নিকটে। ২০১৮ সালে সর্বশেষ আসরের মতো এবারও খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেবার খেলা হয়েছিল ওয়ানডে, এবার টি-টোয়েন্টি। সেবার ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ, এবার যদিও সাকিব আল হাসানদের পরিস্থিতি একদমই ভিন্ন। তবে এশিয়া কাপ যেহেতু, ফিরে আসবেই কিছু স্মৃতি। গত আসরে প্রথম ম্যাচে দারুণ এক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচের ঘটনা। বলের আঘাতে ওপেন করতে নামা তামিমের আঙুল ভেঙ্গে গিয়েছিল। মাঠ থেকে তাকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। ম্যাচ তো বটেই, লম্বা সময়ের জন্যই তখন তার ছিটকে যাওয়ার খবরও হয়ে গেছে।

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৯ উইকেট পড়ার পর ব্যাট হাতে নেমে পড়েন তামিম। কারণ তখন দলের চাহিদা ছিল প্রবল। ক্রিজে থাকা স্বীকৃত ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গ দেওয়ার কেউ ছিলেন না। তামিম ক্রিজে গিয়ে এক হাতে একটি বল মোকাবেলা করেন। তার এক হাতে ব্যাট করার ছবি পরে হয়েছে ভাইরাল।

তামিম ওই সময় মাঠে না নামলে ২২৯ রানে থেমে যেত বাংলাদেশ। তিনি নামায় তাকে একপাশে রেখে দলকে ২৬১ রানে নিয়ে যান মুশফিক। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ১৩৭ রানে।

দ্য ডেইলি স্টার ওই ম্যাচের পর পরই জানিয়েছিল কীভাবে সিদ্ধান্ত হয় তামিমের মাঠে নামার।  বিশেষ পরিস্থিতিতে তামিমকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা আসলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক নিজেই। অষ্টম উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয় আরেক উইকেট পড়লে, যদি মুশফিক স্ট্রাইকে থাকেন তবেই ব্যাট হাতে মাঠে নামবেন তামিম।

৪৭তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান রান আউটে কাটা পড়ার সময় নন-স্ট্রাইকে ছিলেন মুশফিক। ওভার শেষ হতে বাকি ছিল আরও এক বল।  অধিনায়কের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তখন আর মাঠে নামার কথা নয় তামিমের। অর্থাৎ ২২৯ রানেই থেমে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। এরপরই সাহসী সিদ্ধান্ত তামিমের। তামিম তখন নিজ থেকেই বলেন, 'আমি গিয়ে এক বল খেলব, আমি যাব।'

তামিমের সিদ্ধান্তের পর অধিনায়ক নিজে গ্লাভস কেটে  হাতে সেট করে দেন।  বাকিটা ইতিহাস। নেমে এক হাতে লাকমালের শেষ বলটা কোনমতে ঠেকান তামিম। সেই ছবিটি পরে হয়েছে ট্রেডমার্ক।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago