মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার ভান ধরতে চান না কোহলি

প্রায় তিন বছর ধরে সেঞ্চুরির দেখা নেই বিরাট কোহলির ব্যাটে। সাম্প্রতিক সময়ে রান পেতেই ধুঁকছেন তিনি।
ছবি: টুইটার

প্রায় তিন বছর ধরে সেঞ্চুরির দেখা নেই বিরাট কোহলির ব্যাটে। সাম্প্রতিক সময়ে রান পেতেই ধুঁকছেন তিনি। যার প্রভাব পড়েছে ভারতের সাবেক অধিনায়কের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এই বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিনি।

আগামীকাল রোববার এশিয়া কাপে 'এ' গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল ভারত ও পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়। হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে চর্চা চলছে ডানহাতি ব্যাটার কোহলির বাজে ফর্ম নিয়েও।

পড়তি ফর্মের কারণে কোহলির এশিয়া কাপের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের বেশ কয়েকজন সাবেক তারকা তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি দেখছিলেন। ভারতের সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরের দলেও ছিলেন না তিনি। অনেকের মতে, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। আবার অনেকে বলছেন, তিনি বাদ পড়েছিলেন দল থেকে।

ভারতের গণমাধ্যম স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপচারিতায় কোহলি বলেছেন, লম্বা সময় রান না পাওয়ায় তার মানসিক দৃঢ়তায় ফাটল ধরেছিল, 'আমি এটা স্বীকার লজ্জিত নই যে আমি মানসিকভাবে দুর্বল অনুভব করছিলাম। আর এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু এটা নিয়ে আমরা কথা বলি না কারণ আমরা দ্বিধাগ্রস্ত থাকি। আমরা চাই না যে আমাদের মানসিকভাবে দুর্বল বা দুর্বল মানুষ হিসেবে দেখা হোক।'

তবে নিজের মানসিক অবস্থা আর লুকাতে চান না তিনি, 'বিশ্বাস করুন, দুর্বলতা স্বীকার করার চেয়ে শক্তিশালী থাকার ভান করা অনেক বেশি বাজে।'

এতটাই বাজে অবস্থায় চলে গিয়েছিলেন যে এক মাসের জন্য ব্যাট ছুঁয়েও দেখেননি কোহলি, 'দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আমি এক মাসের জন্য ব্যাট স্পর্শ করেও দেখিনি। সম্প্রতি আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি যে আমি আমার দৃঢ়তা নিয়ে কপটতা করার চেষ্টা করছিলাম।'

Comments

The Daily Star  | English

Turning the tide: Critical reforms to correct 15 years of misrule

As Bangladesh enters a new era following the ouster of the Sheikh Hasina-led Awami League government, which ruled over the nation for 15 years and is responsible for countless financial wrongdoings, the need of the hour is to reform the overall system of governance.

16h ago