ভারতকে হারাতে না পারার কলঙ্ক দূর হয়ে গেছে: মইন খান

মইনের অধীনে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতেছিল পাকিস্তান। ২০০০ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল তারা।
ফাইল ছবি

যে কোনো সংস্করণের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় গত বছর। সেই ঐতিহাসিক ফলের সুবাদে পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসের পালে জোর হাওয়া লেগেছে বলে মনে করেন দলটির সাবেক অধিনায়ক মইন খান। তার মতে, আক্রমণাত্মক ঢঙে খেলতে পারলে এবারের এশিয়া কাপে শিরোপার হাসি হাসবে পাকিস্তান।

গত ২০১৯ সালের অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে ১০ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে ১৩ বল হাতে রেখে ১৫২ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে তারা। এর আগে সাদা বলের দুই সংস্করণের বিশ্বকাপে ১২ বারের দেখায় সবকটিতে জিতেছিল ভারত।

রোববার একই ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য 'এ' গ্রুপের বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়। এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১৪ বার পরস্পরকে মোকাবিলা করেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। ভারতের আট জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানের জয় পাঁচটিতে। বাকি ম্যাচে ফল আসেনি।

ছবি: সংগৃহীত

মহারণের আগে স্বদেশি গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানের কাছে মইন জানিয়েছেন, বড় মঞ্চে ভারতকে হারাতে না পারার দাগ আর নেই তাদের গায়ে। এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যাশাতেও আছেন তিনি, 'ভারত আমাদের জন্য অনেক বড় প্রতিপক্ষ এবং আমরা তাদের হারাতে পারি না, সেই কলঙ্ক দূর হয়ে গেছে। তারা অনেক পরিবর্তনও এনেছে এবং তাদের দলটা তত শক্তিশালী নয়। আমরা যদি আক্রমণাত্মক কৌশল বেছে নেই এবং একসঙ্গে খেলি, তাহলে এই টুর্নামেন্ট জেতার সব রকম সামর্থ্য আমাদের থাকবে।'

মইনের অধীনে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতেছিল পাকিস্তান। ২০০০ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল তারা। ওই অর্জন নিয়ে ভীষণ গর্বের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি, 'এশিয়া কাপ জেতা প্রথম অধিনায়ক হওয়াটা আমার জন্য গর্বের। কারণ, আমার আগে অনেক কিংবদন্তি অধিনায়কদের অধীনে বড় বড় তারাকারা খেলেছেন।'

সেদিন জ্বর নিয়ে খেলেও ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন ৫০ বছর বয়সী মইন, 'আমার মনে আছে, আমি সেদিন অসুস্থ ছিলাম এবং তারপরও ৩১ ডেলিভারিতে ৫৬ রান করতে পেরেছিলাম। ম্যাচের আগে আমি স্ট্রেচারে ছিলাম এবং ফিজিও আমার দেখভাল করছিল। আমার ১০২ ডিগ্রি জ্বর ছিল। আমার এটা মনে আছে, কারণ, সেসময় পিসিবি চেয়ারম্যানও ড্রেসিংরুমে গিয়েছিলেন এবং তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আমি খেলতে পারব কি না। তবে আমার মনে সব সময় সাহস ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago