পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু ভারতের

বল হাতে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার তোপেই মূলত মাঝারী সারির স্কোর নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাকিস্তানকে। তবে সে পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করে পাকিস্তান। ম্যাচ জয়ের মতো পরিস্থিতিও তৈরি করেছিল দলটি। কিন্তু শেষ দিকে ব্যাট হাতেও জ্বলে ওঠেন পান্ডিয়া। তার আগ্রাসনেই আর পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। এশিয়া কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে আরও একটি হার মানতে হয় তাদের।

বল হাতে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার তোপেই মূলত মাঝারী সারির স্কোর নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাকিস্তানকে। তবে সে পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করে পাকিস্তান। ম্যাচ জয়ের মতো পরিস্থিতিও তৈরি করেছিল দলটি। কিন্তু শেষ দিকে ব্যাট হাতেও জ্বলে ওঠেন পান্ডিয়া। তার আগ্রাসনেই আর পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। এশিয়া কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে আরও একটি হার মানতে হয় তাদের।

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে দুই বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছায় রোহিত শর্মার দল।

তবে শেষ দিকে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন জাদেজা। শেষ ওভারে তখন প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭ রান। সিঙ্গেলস নিয়ে সহজেই কাজ সাড়তে পারতেন। জাদেজা চেয়েছিলেন ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ করতে। কিন্তু মোহাম্মদ নাওয়াজের লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। পরে সিঙ্গেল নিয়ে পান্ডিয়াকে স্ট্রাইক দেন দিনেশ কার্তিক। তৃতীয় বলটা ডট হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল বেশ। যদিও চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সব উত্তেজনা থামিয়ে ভারতকে জয়ে এনে দেন পান্ডিয়া।  

এদিন অভিষিক্ত নাসিম শাহের তোপে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ভারতের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারে পাকিস্তান। ব্যাটের কানায় লাগিয়ে বোল্ড হয়ে যান লোকেশ রাহুল। দুই বল পর আরও একটি উইকেট পেতে পারতেন এ তরুণ। অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে খোঁচা দিতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ঝাঁপিয়ে চেষ্টা করলেও তালুবন্দি করতে পারেননি ফখর জামান।

জীবন পেয়ে শুরুর ধাক্কাটা দারুণভাবেই সামলেছেন কোহলি। অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে নিয়ে গড়েন ৫০ রানের জুটি। ভারতীয় অধিনায়ককে বিদায় করে এ জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। তার ঠিক এক বল আগেই নাওয়াজকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রোহিত। এক বল পর আরও একটি হাঁকাতে গিয়ে এবার লংঅফে ক্যাচ তুলে দেন ইফতেখারের হাতে। ১৮ বল ১২ রান করেন রোহিত।

পরের ওভারে ফিরে প্রথম বলেই আবার আঘাত হেনে পাকিস্তানকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান নাওয়াজ। এবার ফেরান কোহলিকে। তার বলে যেন আলতো চিপ করে মাঠ পার করতে চেয়েছিলেন কোহলি। মারে তেমন জোর না থাকায় ইফতেখারের আরও একটি সহজ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ৩৪ বলে টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন এ ব্যাটার।

তিন রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানোর পর সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রবীন্দ্র জাদেজা। স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। এ জুটি ভাঙেন সেই নাসিম। ফেরান সূর্য কুমারকে। স্লগ করতে গিয়েছিলেন ব্যাটার। লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৮১ বলে ১৮ আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর হার্দিক পান্ডিয়া নেমেই হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন। অন্য প্রান্ত আগলে রানের গতি বাড়াতে থাকেন জাদেজাও। শেষ ওভারে জাদেজা আউট হলেও পান্ডিয়া শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ২৯ বলে জাদেজা ২টি চার ও ছক্কায় ৩৫ রান করেন। ১৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া। পাকিস্তানের পক্ষে ৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান নাওয়াজ। ২টি শিকার নাসিমের।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। প্রথম ধাক্কাটা দেন ভুবনেশ্বর কুমার। দারুণ ছন্দে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে তুলে নেন তিনি। ব্যক্তিগত ১০ রানে হুক করতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন অধিনায়ক।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফিরে যান ফখর জামান। আবেশ খানের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। যদিও বোলার ও কিপার কেউই আবেদন করেননি। এমনকি আম্পায়ারও আঙুল তোলেননি। তবে ব্যাটে লেগেছে বুঝতে পেরেই মাঠ ছাড়েন এ পাক ক্রিকেটার। চাপের শুরু তখন থেকেই।

ফখরের আউট হওয়ার পর ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিজওয়ান। ৪৫ রানের জুটি গড়লে রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ইফতেখারকে উইকেটরক্ষক কার্তিকের তালুবন্দি করে এ জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। বল হাতে নিয়েই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন এ পেসার। পরের ওভারে ফিরে ফেরান সেট ব্যাটার রিজওয়ানকেও। আপারকাট করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচে দেন তিনি। সে ওভারে খুশদিল শাহকেও তুলে নেন পান্ডিয়া। তাতেই বড় চাপে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।

এরপর আর চাপ থেকে বের হতে পারেনি দলটি। তুলে নিতে পারেনি স্লগ ওভারের সুবিধাও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে এক বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। তবে শেষ দিকে শাহনাওয়াজ দাহানি ও হারিস রউফের ব্যাটে দেড়শ ছুঁইছুঁই রান করতে পারে পাকিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন রিজওয়ান। ইফতেখার করেন ৮ রান। ৬ বলে ২টি ছক্কায় ১৬ রানের ক্যামিও খেলেন শাহনাওয়াজ। হার না মানা ১৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন রউফ।

ভারতের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৬ রানের খরচায় নেন ৪টি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর। ৫ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার পান্ডিয়ার। ২টি উইকেট পান আর্শদিপ।   

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago